ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক শীতলা মাতার পূজো

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয় কৃষ্ণপুর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়, প্রতি বছরের ন্যায় জয় কৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে, ঐতিহ্যবাহী শীতলা মাতার পূজো হয়ে থাকে।

এই পূজো বংশ পরস্পরায় হয়ে আসছে রীতিনীতি মেনে, গ্রাম গঞ্জের থেকে নয় শহরতলি থেকেও পরিবারে লোকেরা ছুটে আসেন এই পুজো দেখার জন্য।

এই ধরনের পূজো সচরাচর অন্যান্য গ্রামে দেখা যায় না বললেলেই হয়,‌ এই পূজোতে মায়ের সামনে পাঁঠা বলি দিয়ে মাকে উৎসর্গ করতে করেন। এর সাথে সাথে একটি বটগাছকে পুজো করে আরতির মধ্য দিয়ে পুজো শেষ হয়, সকল গ্রামবাসী এই পুজোয় মেতে উঠে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত।

এই শীতলা মা এতটাই জাগ্রত, প্রতিবছর মাকে বহু মানুষ মানত করে থাকেন, কেউ পাঠা ছাগল মানত করেন ,কেউ ছেলের ওজন অনুপাতে বাতাসা মানত করেন। কেউ বা বাজি মানত করে থাকেন ভিন্ন রকমের এবং সেই মানত প্রতিবছর এই পুজোর দিন শোধ করতে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা দূর দূরান্ত থেকে, আর কেউ কেউ বাবা-মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই মানত করে থাকেন।

আজ (মঙ্গলবার) এরকমই একটি দৃশ্য দেখা গেল, মায়ের কাছে বলি হওয়ার সাথে সাথে বাতাসায় ভড়িয়ে তুললেন ,হরিলুট করে মায়ের মন্দির এলাকা, পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণে কাজ শুরু হয়।

এই পূজো আগের দিন রাত্রি থেকে জাগরণ শুরু হয়, বাজনা বাদ দিয়ে বাজিয়ে ও নাম গানের মধ্য দিয়ে মাকে জাগ্রত রাখেন,, দিন সকাল থেকে বাজনা বাদ্যি সহ বেরিয়ে পড়েন সারা গ্রাম, মায়ের পুজোর ভোগের চাল আদায়ে, ফিরে আসার পর শুরু হয় মায়ের আসল পুজো। পুরোহিত মশাই তার মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে মায়ের কাছে নিবেদন করেন।

এই পূজো গ্রামবাসীদের হলেও, বেশ কয়েকজন মোড়ল এর দায়িত্ব নেন। যাতে সুন্দরভাবে পুজোটা পরিচালনা করা যায়।, এবং সুষ্ঠুভাবে পুজোটি হয়, বাড়ির মধ্যে ছিলেন ,অশোক কুমার ঘোষ, বাবাই রায়, ভোলানাথ চক্রবর্তী, বাচ্চু ঘোষ, সোমনাথ রায়, শংকর চক্রবর্তী , বাচ্চু রায়, চন্ডী চরণ রায়, কল্যান হাজরা, অলীপ কুমার ঘোষ, তাপস খাঁ, গ্রামবাসীদের অন্যান্যরা।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তারা জানালেন, সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই শীতলা মায়ের পূজো সম্ভব নয়, সবার মতামত নিয়েই আমরা এই পুজো বংশ পরস্পরাই করে আসছি। আগে এতটা জাঁকজমক না হলেও আমরা চেষ্টা করছি ইদানিং মাকে আরো বড় করে করার, তাই সকল গ্রামবাসীদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদেরকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য, এবং যে সকল পরিবারের লোকেরা আমাদের মাকে মানত শোধ করেন তাহাদের কেউ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক শীতলা মাতার পূজো

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

জয় কৃষ্ণপুর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়, প্রতি বছরের ন্যায় জয় কৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে, ঐতিহ্যবাহী শীতলা মাতার পূজো হয়ে থাকে।

এই পূজো বংশ পরস্পরায় হয়ে আসছে রীতিনীতি মেনে, গ্রাম গঞ্জের থেকে নয় শহরতলি থেকেও পরিবারে লোকেরা ছুটে আসেন এই পুজো দেখার জন্য।

এই ধরনের পূজো সচরাচর অন্যান্য গ্রামে দেখা যায় না বললেলেই হয়,‌ এই পূজোতে মায়ের সামনে পাঁঠা বলি দিয়ে মাকে উৎসর্গ করতে করেন। এর সাথে সাথে একটি বটগাছকে পুজো করে আরতির মধ্য দিয়ে পুজো শেষ হয়, সকল গ্রামবাসী এই পুজোয় মেতে উঠে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত।

এই শীতলা মা এতটাই জাগ্রত, প্রতিবছর মাকে বহু মানুষ মানত করে থাকেন, কেউ পাঠা ছাগল মানত করেন ,কেউ ছেলের ওজন অনুপাতে বাতাসা মানত করেন। কেউ বা বাজি মানত করে থাকেন ভিন্ন রকমের এবং সেই মানত প্রতিবছর এই পুজোর দিন শোধ করতে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা দূর দূরান্ত থেকে, আর কেউ কেউ বাবা-মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই মানত করে থাকেন।

আজ (মঙ্গলবার) এরকমই একটি দৃশ্য দেখা গেল, মায়ের কাছে বলি হওয়ার সাথে সাথে বাতাসায় ভড়িয়ে তুললেন ,হরিলুট করে মায়ের মন্দির এলাকা, পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণে কাজ শুরু হয়।

এই পূজো আগের দিন রাত্রি থেকে জাগরণ শুরু হয়, বাজনা বাদ দিয়ে বাজিয়ে ও নাম গানের মধ্য দিয়ে মাকে জাগ্রত রাখেন,, দিন সকাল থেকে বাজনা বাদ্যি সহ বেরিয়ে পড়েন সারা গ্রাম, মায়ের পুজোর ভোগের চাল আদায়ে, ফিরে আসার পর শুরু হয় মায়ের আসল পুজো। পুরোহিত মশাই তার মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে মায়ের কাছে নিবেদন করেন।

এই পূজো গ্রামবাসীদের হলেও, বেশ কয়েকজন মোড়ল এর দায়িত্ব নেন। যাতে সুন্দরভাবে পুজোটা পরিচালনা করা যায়।, এবং সুষ্ঠুভাবে পুজোটি হয়, বাড়ির মধ্যে ছিলেন ,অশোক কুমার ঘোষ, বাবাই রায়, ভোলানাথ চক্রবর্তী, বাচ্চু ঘোষ, সোমনাথ রায়, শংকর চক্রবর্তী , বাচ্চু রায়, চন্ডী চরণ রায়, কল্যান হাজরা, অলীপ কুমার ঘোষ, তাপস খাঁ, গ্রামবাসীদের অন্যান্যরা।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তারা জানালেন, সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই শীতলা মায়ের পূজো সম্ভব নয়, সবার মতামত নিয়েই আমরা এই পুজো বংশ পরস্পরাই করে আসছি। আগে এতটা জাঁকজমক না হলেও আমরা চেষ্টা করছি ইদানিং মাকে আরো বড় করে করার, তাই সকল গ্রামবাসীদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদেরকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য, এবং যে সকল পরিবারের লোকেরা আমাদের মাকে মানত শোধ করেন তাহাদের কেউ।