ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে নতুন নিয়োগ বাণিজ্য

অনন্ত সেলিম, বগুড়া
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ায় সরকারি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে গত ১৫ বছরে অর্থাৎ আওয়ামী শাসনামলে অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করে দুই শতাধিক বিএনপির সমর্থক কর্মচারী কর্মকর্তাকে দলীয় বিবেচনায় তাদের চাকরি ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহন  না করেই অন্তবর্তী সরকারের এই সময়ে এসে শুরু হয়েছে নতুন করে নিয়োগ। আর সেই  নিয়োগে হচ্ছে  বাণিজ্য।

শ্রমিক নেতা দাবি করা কতিপয় ব্যক্তি, আর কতিপয় জেলা নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে করছে এমন কাজ চলছে। নিয়োগ বাণিজ্য করতে তাদের দৌরত্ব এখন ঢাকা টু বগুড়া। সরকার পতনের সাথে সাথে বগুড়ায় অবস্থিত শাখা অফিস  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে শুরু হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যে।  এ নিয়ে অস্থিরতা আর চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শ্রমিক জনতার মাঝে , সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার ।

জানা গেছে,গত ১৫-১৭ বছরে শুধু বগুড়ার অফিস থেকে ২১৩ জন শ্রমিক চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। ঐ কর্মচারীদের অনেকেই মারা গেছেন। জীবিতের মধ্যে থেকে ১২০ জন পুনঃনিয়োগের জন্য  প্লান্ট ম্যানেজারের মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। চাকুরীচ্যুতদের চাকরী ফেরত না দিয়েই গত জুলাই মাসে প্লান্টের ধারায় ২০ জনের একটি নিয়োগ হলেও নিয়োগ পত্র নিয়ে আসা শ্রমিকদর নিয়োগে বাধা দেয় স্থানীয় দুই শ্রমিকনেতা।

পরবর্তীতে নিয়োগ স্থগিত হয় আবার স্থানীয় দুই শ্রমিক নেতার  মাধ্যমেই  তাদের নিয়োগ হয়ে যায় বলে জানা যায়। বর্তমানে বহিষ্কার হওয়া শ্রমিককে চাকরি না দিয়ে তরিঘরি করে রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরি দেওয়া সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।সে ক্ষেত্রে এই নিয়োগে টাকার লেনদেন বা  টাকার বিনিময় হয়েছে বলে দাবী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকের আর সে কারণেই হয়তো চাপা খোবে তোলপাড় চলছে উক্ত  সংস্থায়। তাদের ধারণা এই নিয়োগে বানিজ্য হয়েছে এবং এই বানিজ্যে স্থানীয় দুই সিবিএ নেতা জরিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতো বছর পরে হঠাৎ শ্রমিক নিয়োগ বিরূপ  সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সদ্য বদলি হওয়া (১৬-০৯-২৪) তারিখে বগুড়া অফিস থেকে ঢাকায় বদলি হয় সংস্থাটির ডিজিএম মনিরুল ইসলাম তিনি বলেন, হঠাৎ করেই বগুড়ার ৬ জন সহ মোট ৩৭ জনের বদলী হয় গোপালগঞ্জ, খুলনা ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় তবে কেন হলো তা তার জানা নেই।

বদলিতে বা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড এর নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হেড অফিস থেকে হয় সেখানে শাখা অফিসের কোন হাত নেই। হেড অফিস  যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে।কেন্দ্র থেকে দেওয়া নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের কেউ জরিত আছে কি না সেটা আমার জানা নাই। গত জুলাইয়ে ২০ জনের নিয়োগ স্থগিত এবং ৩০ জনের নিয়োগ হয়েছে সেখানে আর্থিক বানিজ্য  বা লেনদেনের বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে, নিয়োগ বাতিল আবার পূনরায় নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন শ্রমিক নেতা জানান এটা কেন্দ্রীয় সিবিএ নেতাদের সাথে মিটিং করেই নিয়োগ বা নিয়োগ বাতিল করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় দুই সিবিএ নেতা বেঞ্জির বিল্লাহও আবু নছের এর সাথে দেখা করলে তারা জানান, নিয়োগ বাণিজ্যতো দূরের কথা নিয়োগ হয় কেন্দ্র অফিসের মাধ্যমে সেখানে  আমরা আঞ্চলিক অফিসের নেতা,এখানে আমাদের কোন ক্ষমতা নেই বলে জানান তারা। তারা আরও বলেন গত মাসের ৫ থেকে ৯ ই আগষ্ট পর্যন্ত  ৩০ জন কর্মী নিয়োগ হয় যা সম্পূর্ণ কেন্দ্র ভিত্তিক। যাদের অফিসে প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাদের গেট পাশ ছিল না পরবর্তীতে তার অফিস কপি জমা দিলে তাদের কে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিক নেতা পরিচয় দেওয়া কতিপয় ব্যক্তিরা আমাদের কিছু নেতাদের নাম ভেঙে খাচ্ছেন।

এমন কর্মকান্ড সম্পর্কে জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘা বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে কন শ্রমিক নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি এখন শ্রমিক নেতা বনেগিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করছে তারা। আমার জানামতে তারা, আমার শ্রামিক দলের কেহ না তিনি আরো বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ অপরাধী যেই হোকনা কেন তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। আমিও চাই ঐ নিয়োগ বানিজ্যের নেপথ্যে কারা কারা কাজ করছে এটা উন্মুক্ত হোক।

সাংগঠনিক সম্পাদক এস আলম বলেন, নিয়োগের নামে বানিজ্য করার অভিযোগ পেলে তাকে শ্রমিক সংগঠন থেকে  বহিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে সিবিএ নেতা আবু নছের (সহ-সভাপতি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন ঢাকা) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত১৫-০৯-২০২৪ তাং বগুড়ার ৬ জন সহ ৩৭ জনকে গোপালগঞ্জ খুলনা ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। যদিও বগুড়া শাখা অফিস এখানে শুধু ওয়ার্কার আর স্টাফ এবং অফিসার সহ প্রায় ৩৫০ জনের মত কাজ করে। তবে নতুন নিয়োগ হয়েছে ৩০ জনের এই নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে এমন বিষয়ে জানা নেই।

সিবিএ আর এক  নেতা বেঞ্জির বিল্লাহ বলেন, এমনিতেই বগুড়ার লোকজন ১৫-১৭ বছর ধরে কোন নিয়োগ পায়না তার মধ্যে তড়িঘড়ি করে শ্রমিক নিয়োগ সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ। এর অন্তরালে কারা কিসের বিনিময়ে দ্রুত শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে এটা উন্মোচন করা দরকার। আমি যতদূর জানি, কতিপয় নিয়োগের জন্য  ডা, এহসানুল কবির জগলুল (ব্যবস্থাপনা পরিচালক  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া) যখন হজ্ব করতে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি ১৫ টি  নিয়োগের জন্য বলে যান। পরে জিএম  আহসান রেজা ১৫ টির সাথে আরো ৬৩টি নিয়োগ তৈরি করেন এবং নিয়োগ দেন।

অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম না বলার শর্তে  জানান, ১৫ জনের নিয়োগের সাথে আরো ৬৩ টি নিয়োগ প্রদান করা হয় তারা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিবিএ এর স্থানীয় দুই নেতার মাধ্যমে ভর্তি করা হলে এহসানুল কবির জগলুল (ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসেনসিয়াল  ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া) এসে অবৈধদের বের করে দেন। পরে কেন্দ্রীয় সিবিএ এর এই দুইজন  বিভিন্ন  মিটিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের  নির্দেশে  তাদের চাকরিতে ঢোকার সুযোগ করে দেন  ধারনা করা হচ্ছে এখানে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে।

সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে থেকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরো একজন জানান, বহিস্কৃত এক বিএনপির নেতার ভাই  পরিচয় দেওয়া ও আর একজন দলীয় পরিচয় দিয়ে তাদের সংঙ্গে  কালাম,রহিম, ওয়াফিক গং কাজ করে যাচ্ছে। এসকল কাজে সহায়তা কারী হিসাবে ফজলুল হক উপ-ব্যবস্থাপক( উৎপাদন) এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া ও মাহফুজ হোসেন  উদ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া জরিত আছে বলে জানান এক কর্মকর্তা। ফজলুল হকের ছেলেকেও এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছেন তিনি।

আর এক কর্মকর্তা জানান কতিপয় শ্রমিক নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা, তাদের তদবিরে অনেক কে এই প্রতিষ্টানে চাকরির ব্যবস্থা করা সহ সকল অন্যায় কাজ করে কিন্তু আমরা সাধারণ কর্মচারী কর্মকর্তাগণ ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি সর্ব সম্মুখে আসুক এমন প্রত্যাশা অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী কর্মকর্তা সহ সর্বপরি সকল মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে নতুন নিয়োগ বাণিজ্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় সরকারি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে গত ১৫ বছরে অর্থাৎ আওয়ামী শাসনামলে অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করে দুই শতাধিক বিএনপির সমর্থক কর্মচারী কর্মকর্তাকে দলীয় বিবেচনায় তাদের চাকরি ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহন  না করেই অন্তবর্তী সরকারের এই সময়ে এসে শুরু হয়েছে নতুন করে নিয়োগ। আর সেই  নিয়োগে হচ্ছে  বাণিজ্য।

শ্রমিক নেতা দাবি করা কতিপয় ব্যক্তি, আর কতিপয় জেলা নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে করছে এমন কাজ চলছে। নিয়োগ বাণিজ্য করতে তাদের দৌরত্ব এখন ঢাকা টু বগুড়া। সরকার পতনের সাথে সাথে বগুড়ায় অবস্থিত শাখা অফিস  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে শুরু হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যে।  এ নিয়ে অস্থিরতা আর চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শ্রমিক জনতার মাঝে , সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার ।

জানা গেছে,গত ১৫-১৭ বছরে শুধু বগুড়ার অফিস থেকে ২১৩ জন শ্রমিক চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। ঐ কর্মচারীদের অনেকেই মারা গেছেন। জীবিতের মধ্যে থেকে ১২০ জন পুনঃনিয়োগের জন্য  প্লান্ট ম্যানেজারের মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। চাকুরীচ্যুতদের চাকরী ফেরত না দিয়েই গত জুলাই মাসে প্লান্টের ধারায় ২০ জনের একটি নিয়োগ হলেও নিয়োগ পত্র নিয়ে আসা শ্রমিকদর নিয়োগে বাধা দেয় স্থানীয় দুই শ্রমিকনেতা।

পরবর্তীতে নিয়োগ স্থগিত হয় আবার স্থানীয় দুই শ্রমিক নেতার  মাধ্যমেই  তাদের নিয়োগ হয়ে যায় বলে জানা যায়। বর্তমানে বহিষ্কার হওয়া শ্রমিককে চাকরি না দিয়ে তরিঘরি করে রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরি দেওয়া সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।সে ক্ষেত্রে এই নিয়োগে টাকার লেনদেন বা  টাকার বিনিময় হয়েছে বলে দাবী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকের আর সে কারণেই হয়তো চাপা খোবে তোলপাড় চলছে উক্ত  সংস্থায়। তাদের ধারণা এই নিয়োগে বানিজ্য হয়েছে এবং এই বানিজ্যে স্থানীয় দুই সিবিএ নেতা জরিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতো বছর পরে হঠাৎ শ্রমিক নিয়োগ বিরূপ  সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সদ্য বদলি হওয়া (১৬-০৯-২৪) তারিখে বগুড়া অফিস থেকে ঢাকায় বদলি হয় সংস্থাটির ডিজিএম মনিরুল ইসলাম তিনি বলেন, হঠাৎ করেই বগুড়ার ৬ জন সহ মোট ৩৭ জনের বদলী হয় গোপালগঞ্জ, খুলনা ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় তবে কেন হলো তা তার জানা নেই।

বদলিতে বা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড এর নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হেড অফিস থেকে হয় সেখানে শাখা অফিসের কোন হাত নেই। হেড অফিস  যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে।কেন্দ্র থেকে দেওয়া নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের কেউ জরিত আছে কি না সেটা আমার জানা নাই। গত জুলাইয়ে ২০ জনের নিয়োগ স্থগিত এবং ৩০ জনের নিয়োগ হয়েছে সেখানে আর্থিক বানিজ্য  বা লেনদেনের বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে, নিয়োগ বাতিল আবার পূনরায় নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন শ্রমিক নেতা জানান এটা কেন্দ্রীয় সিবিএ নেতাদের সাথে মিটিং করেই নিয়োগ বা নিয়োগ বাতিল করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় দুই সিবিএ নেতা বেঞ্জির বিল্লাহও আবু নছের এর সাথে দেখা করলে তারা জানান, নিয়োগ বাণিজ্যতো দূরের কথা নিয়োগ হয় কেন্দ্র অফিসের মাধ্যমে সেখানে  আমরা আঞ্চলিক অফিসের নেতা,এখানে আমাদের কোন ক্ষমতা নেই বলে জানান তারা। তারা আরও বলেন গত মাসের ৫ থেকে ৯ ই আগষ্ট পর্যন্ত  ৩০ জন কর্মী নিয়োগ হয় যা সম্পূর্ণ কেন্দ্র ভিত্তিক। যাদের অফিসে প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাদের গেট পাশ ছিল না পরবর্তীতে তার অফিস কপি জমা দিলে তাদের কে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিক নেতা পরিচয় দেওয়া কতিপয় ব্যক্তিরা আমাদের কিছু নেতাদের নাম ভেঙে খাচ্ছেন।

এমন কর্মকান্ড সম্পর্কে জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘা বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে কন শ্রমিক নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি এখন শ্রমিক নেতা বনেগিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করছে তারা। আমার জানামতে তারা, আমার শ্রামিক দলের কেহ না তিনি আরো বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ অপরাধী যেই হোকনা কেন তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। আমিও চাই ঐ নিয়োগ বানিজ্যের নেপথ্যে কারা কারা কাজ করছে এটা উন্মুক্ত হোক।

সাংগঠনিক সম্পাদক এস আলম বলেন, নিয়োগের নামে বানিজ্য করার অভিযোগ পেলে তাকে শ্রমিক সংগঠন থেকে  বহিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে সিবিএ নেতা আবু নছের (সহ-সভাপতি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন ঢাকা) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত১৫-০৯-২০২৪ তাং বগুড়ার ৬ জন সহ ৩৭ জনকে গোপালগঞ্জ খুলনা ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। যদিও বগুড়া শাখা অফিস এখানে শুধু ওয়ার্কার আর স্টাফ এবং অফিসার সহ প্রায় ৩৫০ জনের মত কাজ করে। তবে নতুন নিয়োগ হয়েছে ৩০ জনের এই নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে এমন বিষয়ে জানা নেই।

সিবিএ আর এক  নেতা বেঞ্জির বিল্লাহ বলেন, এমনিতেই বগুড়ার লোকজন ১৫-১৭ বছর ধরে কোন নিয়োগ পায়না তার মধ্যে তড়িঘড়ি করে শ্রমিক নিয়োগ সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ। এর অন্তরালে কারা কিসের বিনিময়ে দ্রুত শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে এটা উন্মোচন করা দরকার। আমি যতদূর জানি, কতিপয় নিয়োগের জন্য  ডা, এহসানুল কবির জগলুল (ব্যবস্থাপনা পরিচালক  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া) যখন হজ্ব করতে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি ১৫ টি  নিয়োগের জন্য বলে যান। পরে জিএম  আহসান রেজা ১৫ টির সাথে আরো ৬৩টি নিয়োগ তৈরি করেন এবং নিয়োগ দেন।

অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম না বলার শর্তে  জানান, ১৫ জনের নিয়োগের সাথে আরো ৬৩ টি নিয়োগ প্রদান করা হয় তারা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিবিএ এর স্থানীয় দুই নেতার মাধ্যমে ভর্তি করা হলে এহসানুল কবির জগলুল (ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসেনসিয়াল  ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া) এসে অবৈধদের বের করে দেন। পরে কেন্দ্রীয় সিবিএ এর এই দুইজন  বিভিন্ন  মিটিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের  নির্দেশে  তাদের চাকরিতে ঢোকার সুযোগ করে দেন  ধারনা করা হচ্ছে এখানে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে।

সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে থেকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরো একজন জানান, বহিস্কৃত এক বিএনপির নেতার ভাই  পরিচয় দেওয়া ও আর একজন দলীয় পরিচয় দিয়ে তাদের সংঙ্গে  কালাম,রহিম, ওয়াফিক গং কাজ করে যাচ্ছে। এসকল কাজে সহায়তা কারী হিসাবে ফজলুল হক উপ-ব্যবস্থাপক( উৎপাদন) এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া ও মাহফুজ হোসেন  উদ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা  এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বগুড়া জরিত আছে বলে জানান এক কর্মকর্তা। ফজলুল হকের ছেলেকেও এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছেন তিনি।

আর এক কর্মকর্তা জানান কতিপয় শ্রমিক নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা, তাদের তদবিরে অনেক কে এই প্রতিষ্টানে চাকরির ব্যবস্থা করা সহ সকল অন্যায় কাজ করে কিন্তু আমরা সাধারণ কর্মচারী কর্মকর্তাগণ ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি সর্ব সম্মুখে আসুক এমন প্রত্যাশা অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী কর্মকর্তা সহ সর্বপরি সকল মানুষের।