এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার ষড়যন্ত্র দেশেই! গ্রেপ্তার ৩
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ‘খুন’ হন আরওয়ামী লীগের তিন বারের এমপি আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এদিকে, খুনের ঘটনায় তদন্ত নেমেছে বারতীয় পুলিশ। সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, নিখোঁজ এমপির তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে উঠে আসছে খুনের রহস্য।
এদিকে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। যদিও এখনো পর্যন্ত আজিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি।
তিনি বলেন, এমপি আনারকে হত্যার ঘটনায় অনেক তথ্যই রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
চিকিৎসা করাতে চলতি মাসের ১২ মে কলকাতা যান এই এমপি। তার পর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগও করেননি তিনি। ১৪ মে থেকে তার ফোনও ‘সুইচড অফ’ ছিলেঅ। পুলিশ সূত্রের খবর, শেষবার এমপি আনোয়ারুল আজিমের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন উত্তরপ্রদেশে পাওয়া গিয়েছিলো। তবে তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তার পরিবারের পক্ষ থেকেজোনানো হয় ডিবি অফিসে। এরপর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে। নিখোঁজ এমপির খোঁজে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আর তা থেকেই দাবি, খুন করা হতে পারে ওই এমপিকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এমপি আনোয়ারুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি ঝিনাইদহ থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। আমরা এখন এতটুকুই বলতে পারি কলকাতার একটি বাড়িতে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা জানতে ভারতের সাথে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এমপি আনোয়ারুলকে যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশ সেখানে ঢুকেছিলো। কিন্তু মরদেহ সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ কয়েকজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। কলকাতা পুলিশও দুইজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। দুইদিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি গোপালকে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তিনি বাইরে বের হচ্ছেন, ফিরে আসবেন আজই। তবে তার পরদিন এমপি ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন গোপাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের তরফেও তাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তার ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এরপর এমপির খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে দুই দেশ।
আরো একটি তথ্য বলছে, কলকাতায় এসে তিনি নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে এক মহিলা সঙ্গীসহ তার সাথে ছিলেন আরও কয়েকজন। তিনি যদি খুন হয়ে থাকেন, তাহলে কে বা কারা খুন করেছে এবং কেনই বা খুন করলো, এখন পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানা পুলিশ এবং বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ কর্মকতারা তদন্তে নেমেছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজও।