ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্রয় খুঁজছেন ছাগলকান্ডের মতিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাগলকান্ডের আগে এনবিআরের মতিউর রহমানের আশ্রয়ে ছিলেন অনেক রাঘববোয়াল। আর এখন তিনি নিজেই আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। এরমধ্যে অনেক প্রভাবশালীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এরমধ্যে অনেকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মতিউর যাদের সাথে কথা বলেছেন তার ফোনলিস্ট এরমধ্যে বের করেছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই তালিকায় রয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদের নাম। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত-মতিউরের স্ত্রী, সন্তান-মেয়ের বাইরেও স্বজনদের নামে অঢেল সম্পত্তি গড়েছেন মতিউর। দেশ ছেড়ে পালানো মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলে ইফাত বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন সূত্রে এনটাই জানা গেছে।

এদিকে, মতিউর রহমানের সব ধরনের সম্পদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে দুদক। চলতি সপ্তাহেই সেসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করতে আদালতে আবেদন জানানো হতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন যাতে না করতে পারে, সেজন্য এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। ছাগলকাণ্ডে নাম আসার পর দুদকের অনুসন্ধান কমিটির পাশাপাশি মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

এনবিআর ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তারা মতিউরের আয়কর ফাইলে দেখানো আয়-ব্যয় ও সম্পদের অনুসন্ধান করছে। তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লিখিত সম্পদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, মতিউরের আয়কর নথি অনুযায়ী তার ২০ কোটির বেশি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়। এর মধ্যে নগদ দেখানো হয় ১৩ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে দেখানো হয়েছে ৮২ লাখ টাকার বিনিয়োগ। ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, তিন কোটি টাকার অকৃষি সম্পত্তি । এছাড়া একটি মৎস্য খামারে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার তথ্য রয়েছে তার ফাইলে। তবে আয়কর নথিতে উল্লেখ নেই তার আর কোনো সম্পত্তির কথা।

মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে ৪ বার অনুসন্ধান করে দায়মুক্তি দিয়েছিলো দুদক। যারা ওই সময় তদন্ত করেছিলেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

দু’দক সূত্র জানিয়েছে, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোদেন মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী। তার নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে আয়কর নথিতে।

২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর বিবরণীতে মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। নগদ তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা রয়েছে। পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি থেকে এক কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা মুনাফার কথাও বলা হয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার মিরপুরে একই ভবনে ৪টি ফ্ল্যাট।

আয়কর ও নির্বাচনী হলফনামার নথি অনুযায়ী, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে তার আয় নয় লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর কৃষি খাত থেকে আয় হয় ১৮ লাখ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে আসে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী পান এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৫ টাকা।

এছাড়া ব্যাংকের সুদ থেকে এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ টাকা আয় করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কৃষিজমির পরিমাণ ১৫৪ শতাংশ। অকৃষি জমির মধ্যে রয়েছে রাজউকে ৫ কাঠার প্লট, সাভারে সাড়ে আট কাঠার জমি, গাজীপুরের বাহাদুরপুরে ২৭ শতাংশ, গাজীপুরের মেঘদুবীতে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, গাজীপুরে পাঁচ কাঠা, পুবাইলে ছয় দশমিক ৬০ শতাংশ ও দুই দশমিক ৯০ শতাংশ, পুবাইল থানার খিলগাঁও মৌজায় ৫ শতাংশ ও ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, গাজীপুরের ধোপাপাড়ায় ১৭ শতাংশ, নরসিংদীর রায়পুরায় ৩৫ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ, রায়পুরার মরজালে ১৩৩ শতাংশ, সোয়া ৫ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ, শিবপুরে ২৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, শিবপুরের যোশরে সাড়ে ৪৪ শতাংশ ও নাটোরের সিংড়ায় ১ একর ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে।

কানাডাপ্রবাসী কন্যা ইপ্সিতার নসম্পদও কম নয়। তারও রয়েছে শতকোটি টাকার সম্পদ। ২০২৩-২৪ করবর্ষে মতিউর কন্যার আয়কর ফাইলে ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়। সোনালী সিকিউরিটিজে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ রয়েছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি রয়েছে তার। বারিধারায় আছে বিলাসবহুল সাততলা বাড়ি। আয়কর নথিতে সেটি দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকার সম্পদ।

জানা গেছে, কলেজ শিক্ষক লায়লা কানিজ রসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রকাশ্যে আসেন। এর একপর্যায়ে মন্তব্য করেন ‘আমাদের কিছুই হবে না; অনেক বড় বড় সাংবাদিক কিনে এসেছি।’

এদিকে, মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামেও রয়েছে বিপুল সম্পদ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে রয়েছে একটি, লালমাটিয়ায় একটি, কাকরাইলে দুটিসহ আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট। পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। আরো রয়েছে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এসকে থ্রেড নামে সুতা তৈরির কারখানা ও টঙ্গীতে এসকে ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামের গার্মেন্টস সরঞ্জাম তৈরির কারখানা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আশ্রয় খুঁজছেন ছাগলকান্ডের মতিউর

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ছাগলকান্ডের আগে এনবিআরের মতিউর রহমানের আশ্রয়ে ছিলেন অনেক রাঘববোয়াল। আর এখন তিনি নিজেই আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। এরমধ্যে অনেক প্রভাবশালীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এরমধ্যে অনেকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মতিউর যাদের সাথে কথা বলেছেন তার ফোনলিস্ট এরমধ্যে বের করেছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই তালিকায় রয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদের নাম। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত-মতিউরের স্ত্রী, সন্তান-মেয়ের বাইরেও স্বজনদের নামে অঢেল সম্পত্তি গড়েছেন মতিউর। দেশ ছেড়ে পালানো মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলে ইফাত বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন সূত্রে এনটাই জানা গেছে।

এদিকে, মতিউর রহমানের সব ধরনের সম্পদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে দুদক। চলতি সপ্তাহেই সেসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করতে আদালতে আবেদন জানানো হতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন যাতে না করতে পারে, সেজন্য এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। ছাগলকাণ্ডে নাম আসার পর দুদকের অনুসন্ধান কমিটির পাশাপাশি মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

এনবিআর ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তারা মতিউরের আয়কর ফাইলে দেখানো আয়-ব্যয় ও সম্পদের অনুসন্ধান করছে। তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লিখিত সম্পদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, মতিউরের আয়কর নথি অনুযায়ী তার ২০ কোটির বেশি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়। এর মধ্যে নগদ দেখানো হয় ১৩ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে দেখানো হয়েছে ৮২ লাখ টাকার বিনিয়োগ। ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, তিন কোটি টাকার অকৃষি সম্পত্তি । এছাড়া একটি মৎস্য খামারে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার তথ্য রয়েছে তার ফাইলে। তবে আয়কর নথিতে উল্লেখ নেই তার আর কোনো সম্পত্তির কথা।

মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে ৪ বার অনুসন্ধান করে দায়মুক্তি দিয়েছিলো দুদক। যারা ওই সময় তদন্ত করেছিলেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

দু’দক সূত্র জানিয়েছে, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোদেন মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী। তার নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে আয়কর নথিতে।

২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর বিবরণীতে মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। নগদ তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা রয়েছে। পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি থেকে এক কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা মুনাফার কথাও বলা হয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার মিরপুরে একই ভবনে ৪টি ফ্ল্যাট।

আয়কর ও নির্বাচনী হলফনামার নথি অনুযায়ী, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে তার আয় নয় লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর কৃষি খাত থেকে আয় হয় ১৮ লাখ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে আসে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী পান এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৫ টাকা।

এছাড়া ব্যাংকের সুদ থেকে এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ টাকা আয় করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কৃষিজমির পরিমাণ ১৫৪ শতাংশ। অকৃষি জমির মধ্যে রয়েছে রাজউকে ৫ কাঠার প্লট, সাভারে সাড়ে আট কাঠার জমি, গাজীপুরের বাহাদুরপুরে ২৭ শতাংশ, গাজীপুরের মেঘদুবীতে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, গাজীপুরে পাঁচ কাঠা, পুবাইলে ছয় দশমিক ৬০ শতাংশ ও দুই দশমিক ৯০ শতাংশ, পুবাইল থানার খিলগাঁও মৌজায় ৫ শতাংশ ও ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, গাজীপুরের ধোপাপাড়ায় ১৭ শতাংশ, নরসিংদীর রায়পুরায় ৩৫ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ, রায়পুরার মরজালে ১৩৩ শতাংশ, সোয়া ৫ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ, শিবপুরে ২৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, শিবপুরের যোশরে সাড়ে ৪৪ শতাংশ ও নাটোরের সিংড়ায় ১ একর ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে।

কানাডাপ্রবাসী কন্যা ইপ্সিতার নসম্পদও কম নয়। তারও রয়েছে শতকোটি টাকার সম্পদ। ২০২৩-২৪ করবর্ষে মতিউর কন্যার আয়কর ফাইলে ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়। সোনালী সিকিউরিটিজে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ রয়েছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি রয়েছে তার। বারিধারায় আছে বিলাসবহুল সাততলা বাড়ি। আয়কর নথিতে সেটি দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকার সম্পদ।

জানা গেছে, কলেজ শিক্ষক লায়লা কানিজ রসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রকাশ্যে আসেন। এর একপর্যায়ে মন্তব্য করেন ‘আমাদের কিছুই হবে না; অনেক বড় বড় সাংবাদিক কিনে এসেছি।’

এদিকে, মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামেও রয়েছে বিপুল সম্পদ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে রয়েছে একটি, লালমাটিয়ায় একটি, কাকরাইলে দুটিসহ আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট। পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। আরো রয়েছে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এসকে থ্রেড নামে সুতা তৈরির কারখানা ও টঙ্গীতে এসকে ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামের গার্মেন্টস সরঞ্জাম তৈরির কারখানা।