ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আশংকা ছিলো এ ধরনের একটা আঘাত আসবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আশঙ্কা ছিলো এই ধরনের একটা আঘাত আসবে। সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের হামলা করতে পারে।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার একটা আশঙ্কা ছিলো যে, এরকম একটা আঘাত আসবে।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলো। তাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছিলো হাজার হাজার মানুষ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন ঘটনা দেখতে চান না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এর কারন তাদের লক্ষ্য ছিলো দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন,একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। ছাত্ররা যখন মাঠে ছিলো তখন তিনি কখনোই সেনা সদস্যদের মোতায়েন করতে চাননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যেসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের।

সরকার প্রধান বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো তখন তারা কেনো জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকান্ডের সুযোগ দিল। কোটামক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশের এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিলো।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোঃ নাঈমুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন-সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিবিসি’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন,দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, ডিবিসি’র বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ,ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আশংকা ছিলো এ ধরনের একটা আঘাত আসবে’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আশঙ্কা ছিলো এই ধরনের একটা আঘাত আসবে। সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের হামলা করতে পারে।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার একটা আশঙ্কা ছিলো যে, এরকম একটা আঘাত আসবে।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলো। তাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছিলো হাজার হাজার মানুষ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন ঘটনা দেখতে চান না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এর কারন তাদের লক্ষ্য ছিলো দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন,একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। ছাত্ররা যখন মাঠে ছিলো তখন তিনি কখনোই সেনা সদস্যদের মোতায়েন করতে চাননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যেসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের।

সরকার প্রধান বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো তখন তারা কেনো জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকান্ডের সুযোগ দিল। কোটামক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশের এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিলো।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোঃ নাঈমুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন-সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিবিসি’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন,দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, ডিবিসি’র বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ,ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান।