আলুর বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

ইমরান হোসাইন, তানোর (রাজশাহী)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও এছর উৎপাদন খরচ একটু বেশি। এর কারণ সার ও বীজের দাম ছিল বেশি। তারপরও আলুর ফলন ও দামে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকেই ২৯ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে খুলনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জন হয়েছে ১৩ হাজার ১১২ হেক্টর। তবে, আগাম আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না হলেও এবারে ৪৫ হেক্টর চাষাবাদ হয়। ইতোমধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমির আলু তুলেছে কৃষক। এবার প্রতি বিঘায় ৭০ কেজির বস্তায় আলু উৎপাদন হচ্ছে ৬০ বস্তা করে। সেই হিসেব মতে প্রতি বিঘার আলু বিক্রি করে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা পাচ্ছে চাষিরা।

তানোর পৌর এলাকার জিওল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর আলুর ফলন ও দাম দুটোই ভালো। আলু বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না, পাইকাররা জমি থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এরমধ্যে আলু তুলতে শুরু করেছি। এবার দ্বিগুন লাভ হচ্ছে।

এসব বিষয়ে কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী রেজা বলেন, আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কীটনাশকও স্প্রে কম করতে হয়। তাই খরচের তুলনায় দ্বিগুন টাকা লাভ হয়েছে।

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, এবছর প্রতি বিঘায় ৭০ কেজির বস্তায় আলু উৎপাদন হচ্ছে ৬০ বস্তা করে। আলুর দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আলুর বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও এছর উৎপাদন খরচ একটু বেশি। এর কারণ সার ও বীজের দাম ছিল বেশি। তারপরও আলুর ফলন ও দামে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকেই ২৯ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে খুলনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জন হয়েছে ১৩ হাজার ১১২ হেক্টর। তবে, আগাম আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না হলেও এবারে ৪৫ হেক্টর চাষাবাদ হয়। ইতোমধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমির আলু তুলেছে কৃষক। এবার প্রতি বিঘায় ৭০ কেজির বস্তায় আলু উৎপাদন হচ্ছে ৬০ বস্তা করে। সেই হিসেব মতে প্রতি বিঘার আলু বিক্রি করে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা পাচ্ছে চাষিরা।

তানোর পৌর এলাকার জিওল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর আলুর ফলন ও দাম দুটোই ভালো। আলু বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না, পাইকাররা জমি থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এরমধ্যে আলু তুলতে শুরু করেছি। এবার দ্বিগুন লাভ হচ্ছে।

এসব বিষয়ে কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী রেজা বলেন, আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কীটনাশকও স্প্রে কম করতে হয়। তাই খরচের তুলনায় দ্বিগুন টাকা লাভ হয়েছে।

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, এবছর প্রতি বিঘায় ৭০ কেজির বস্তায় আলু উৎপাদন হচ্ছে ৬০ বস্তা করে। আলুর দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।