ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুঠোফোনে শেষ কথা সজলের

আমি মরে গেলে হাজার শিক্ষার্থী তোমার পাশে দাঁড়াবে

সরকার লুৎফর রহমান,গাইবান্ধা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশুলিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন সজল গত ৫ আগষ্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় গুলিতে নিহত হন। তাকে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে সজল তার মাকে মোবাইল ফোনে জানান, মা আমি মরে গেলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তোমার পাশে দাঁড়াবে।

ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা শেষ হওয়ার পর ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে মা শাহিনা বেগম ও বাবা খলিলুর রহমান। ছেলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন তারা। কিন্তু ছেলেকে আর জীবিত পাননি, পেয়েছেন মৃত। তাও আবার পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া অবস্থায়। সন্তানের এমন লাশ দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েন মা বাবা ও বোন। নিহত সজলের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে।

সজলের মা আরও জানান, সজল আমাদের একমাত্র ছেলে। আমরা এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার জামগড়ায় জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাব। সে আশায় তাকে আশুলিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসিতে ভর্তি করাই। সে ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।

ঘটনার ২দিন পর গত মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দেখে সজলের পোড়া লাশ সনাক্ত করে তার পরিবার। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল স্যালুট জানিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। গত বুধবার গাইবান্ধা জেলায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মুঠোফোনে শেষ কথা সজলের

আমি মরে গেলে হাজার শিক্ষার্থী তোমার পাশে দাঁড়াবে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

আশুলিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন সজল গত ৫ আগষ্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় গুলিতে নিহত হন। তাকে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে সজল তার মাকে মোবাইল ফোনে জানান, মা আমি মরে গেলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তোমার পাশে দাঁড়াবে।

ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা শেষ হওয়ার পর ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে মা শাহিনা বেগম ও বাবা খলিলুর রহমান। ছেলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন তারা। কিন্তু ছেলেকে আর জীবিত পাননি, পেয়েছেন মৃত। তাও আবার পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া অবস্থায়। সন্তানের এমন লাশ দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েন মা বাবা ও বোন। নিহত সজলের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে।

সজলের মা আরও জানান, সজল আমাদের একমাত্র ছেলে। আমরা এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার জামগড়ায় জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাব। সে আশায় তাকে আশুলিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসিতে ভর্তি করাই। সে ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।

ঘটনার ২দিন পর গত মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড দেখে সজলের পোড়া লাশ সনাক্ত করে তার পরিবার। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল স্যালুট জানিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। গত বুধবার গাইবান্ধা জেলায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।