ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৭ অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযোগে তার সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুও রয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ৩টি অভিযোগ দায়ের হয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। ৭টি অভিযোগেই গণহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে অভিযুক্ত অনেকেই। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের নিহতের হওয়ার ঘটনায় বুধবার (২‌১ আগড়স্ট) যে অভিযোগ দায়ের হয় তাতে অভিযুক্ত প্রায় ৫০০ জন।

ট্রাইব্যুানালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ১৪ আগস্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। চলতি মাসের ৫ তারিখ সাভারে গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবিরের পক্ষে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন। ৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

কোটা আন্দোলনে গত জুলাইয়ে চট্টগ্রামে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বুধবার (২১ আগস্ট) ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় চট্টগ্রামে নিহত ফয়সাল আহমেদের বাবা জাকির হোসেন এই অভিযোগ দায়ের করে।

তাতে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া বাকি আসামিরা হলো- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন আহমদ, আ.জ.ম নাছির উদ্দিন,আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীসহ ৭৭ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৮ ধারানুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। আইনের ৩(২) ও ৪(১)/৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরে সংগঠিত ‘গণহত্যায়’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একটিতে ৭০ জন আসামি করা হয়েছে। অপরটিতে অপরটিতে ৭৩ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে, ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অজ্ঞাত অস্ত্রধারী দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যার অভিযোগ করা হয়।

ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. আব্দুল মতিন এই অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত করা হয় শেখ হাসিনা ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৭ অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযোগে তার সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুও রয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ৩টি অভিযোগ দায়ের হয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়। ৭টি অভিযোগেই গণহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে অভিযুক্ত অনেকেই। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের নিহতের হওয়ার ঘটনায় বুধবার (২‌১ আগড়স্ট) যে অভিযোগ দায়ের হয় তাতে অভিযুক্ত প্রায় ৫০০ জন।

ট্রাইব্যুানালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ১৪ আগস্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। চলতি মাসের ৫ তারিখ সাভারে গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবিরের পক্ষে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন। ৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

কোটা আন্দোলনে গত জুলাইয়ে চট্টগ্রামে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বুধবার (২১ আগস্ট) ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় চট্টগ্রামে নিহত ফয়সাল আহমেদের বাবা জাকির হোসেন এই অভিযোগ দায়ের করে।

তাতে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া বাকি আসামিরা হলো- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন আহমদ, আ.জ.ম নাছির উদ্দিন,আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীসহ ৭৭ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৮ ধারানুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। আইনের ৩(২) ও ৪(১)/৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরে সংগঠিত ‘গণহত্যায়’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একটিতে ৭০ জন আসামি করা হয়েছে। অপরটিতে অপরটিতে ৭৩ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে, ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অজ্ঞাত অস্ত্রধারী দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যার অভিযোগ করা হয়।

ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের নিহতের ঘটনায় তার বাবা মো. আব্দুল মতিন এই অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত করা হয় শেখ হাসিনা ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়।