অবাধে কৃষিজমির মাটি বিক্রি, নীরব প্রশাসন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সর্বত্র কৃষিজমি থেকে দিনে ও রাতে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি মহল। এতে কৃষিখাত হুমকির মুখে পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদন খাতে।
এখানেই শেষ নয়, মাঝে মাঝে কৃষি জমির কাছ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালুও উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে পাশের কৃষিজমি ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে গিয়ে জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি জায়গায় কৃষিজমি কেটে মাটি বিক্রি ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আটক করে দণ্ড দেয়। এরপরও বন্ধ হয়নি মাটি বিক্রি ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কর্মযঞ্জ।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সালথা উপজেলার জয়কালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোল ঘেষে নিত্য গোপাল রায় নামক এক ব্যক্তির জমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে ট্রলিতে করে বিক্রি করছেন হুমায়ুন নামক এক ব্যবসায়ি। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের ভবন।
একই ইউনিয়নের কিত্তা গ্রামের আখের আলী নামক এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নকুলহাটি, মিরকান্দি, কিত্তা, বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা হতে মাটি বিক্রি করে আসছেন। রাত হলেই নকুলহাটি এলাকায় শুরু হয় আখের আলীর ট্রলি ও ডাম্প ট্রাকের তাণ্ডব। ফলে একদিকে যেমন সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাচা পাকা সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কষ্ট হচ্ছে।
এছাড়া, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাতে ও দিনে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কেটে ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই করে বিক্রি করে আসছে । এসব মাটি বিক্রির নেপথ্যে কারা এবং মূল হোতাকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন। অভিযান হলে আটক হয় মাটি বহনকারী বা এক্সক্যাভেটর চালক। কিন্তু মূল ব্যবসায়ীরা রয়ে যায় পর্দার আড়ালে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, এই কার্যক্রম চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এখানকার কৃষি জমির সংকট দেখা দিতে পারে। কৃষি বাঁচাতে এসব মাটির কারবার বন্ধ করতে প্রশাসনের নজরদারি একান্তভাবে কাম্য।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিচুর রহমান বালি এ বিষয়ে বলেন, তথ্য পেলেই মাটি কাটা বন্ধ করে
দেই। আমি এখন ছুটিতে আছি। আমি থানায় জানাচ্ছি।