ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘৭৫’র পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এবং দলের লোকজন তা সব জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যার পর সেই ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আ’ লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়র আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যা ইপিআর এর ওয়্যারলেস, টেলিগ্রাম-টেলিপ্রিন্টার এবং দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ ’৭৫ এ জাতির জনকে সপরিবারে হত্যার পর সেই ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো হয়।

তিনি আরও বলেন, কোন এক মেজর একটি ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে বাঁশিতে ফুঁক দিলো আর অমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল! এভাবে দেশ স্বাধীন হয় না। বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ঐহিতাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। ২৫ মার্চ হঠাৎ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমন শুরু করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই জাতির জনক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের এমপিরাই প্রথম সরকার গঠন করে। যার রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। এর উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদসহ সরকারের সদস্যরা মুজিবনগরে শপথ নেন। জাতির জনক কারাগারে অন্তরীন থাকায় তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলো। এছাড়া জিয়া একজন সামান্য মেজর ছিলেন। মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। স্বাধীনতার আগে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার হিসেবে কার্যাদেশ পেয়ে পূর্ববঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জিয়ার জন্ম ছিল কলকাতায়। এরপর পরিবার করাচিতে চলে যায় এবং তার লেখাপড়া ও সেনাবাহিনীতে যোগদান সবকিছুই পাকিস্তানে ছিল। কাজেই তার মনে ঐ পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘৭৫’র পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এবং দলের লোকজন তা সব জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যার পর সেই ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আ’ লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়র আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যা ইপিআর এর ওয়্যারলেস, টেলিগ্রাম-টেলিপ্রিন্টার এবং দলের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ ’৭৫ এ জাতির জনকে সপরিবারে হত্যার পর সেই ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো হয়।

তিনি আরও বলেন, কোন এক মেজর একটি ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে বাঁশিতে ফুঁক দিলো আর অমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল! এভাবে দেশ স্বাধীন হয় না। বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ঐহিতাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। ২৫ মার্চ হঠাৎ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমন শুরু করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই জাতির জনক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের এমপিরাই প্রথম সরকার গঠন করে। যার রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। এর উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদসহ সরকারের সদস্যরা মুজিবনগরে শপথ নেন। জাতির জনক কারাগারে অন্তরীন থাকায় তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলো। এছাড়া জিয়া একজন সামান্য মেজর ছিলেন। মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। স্বাধীনতার আগে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার হিসেবে কার্যাদেশ পেয়ে পূর্ববঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জিয়ার জন্ম ছিল কলকাতায়। এরপর পরিবার করাচিতে চলে যায় এবং তার লেখাপড়া ও সেনাবাহিনীতে যোগদান সবকিছুই পাকিস্তানে ছিল। কাজেই তার মনে ঐ পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে।