৬০টি কুকুরকে ধর্ষণের পর হত্যা, আড়াইশো বছর জেল কুমির বিঞ্জানীর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
৬০টির বেশি কুকুরকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ২৪৯ বছরের জেল হয়েছে ব্রিটিশ প্রাণীবিজ্ঞানী অ্যাডাম ব্রিটোন’র।অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ আদালত তাকে দোষী সাবস্থ্য করে এই রায় প্রদান করেন।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন বিখ্যাত কুমির বিঞ্জানী অ্যাডামের আইনজীবী। ওই দিন মক্কেলের পক্ষে অন্তিম রিপোর্ট প্রকাশ করবেন তিনি। তারপর আড়াইশো বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাবেন আদালত।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবলা প্রাণীর উপরে নৃশংস অপরাধের ঘটনা সামনে আসে। তখন কুমির বিশেষজ্ঞ প্রাণীবিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন ।
আদালতে শুনানির সময় সরকারি কৌশলীর দাবি, যন্ত্রণাদায়ক যৌনতায় আসক্ত ছিলেন কুমির বিঞ্জানী অ্যাডাম। প্রাণীবিজ্ঞানী বলেই পরিচিতরা তার কাছে নিশ্চিন্তে পোষ্যকে রেখে বেড়াতে যেতেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেন অ্যাডাম। কুকুরগুলোকে ধর্ষণ করতেন তিনি। যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চলতো এই নির্যাতন চালাতেন।
অন্য প্রদেশে থাকা পোষ্যের মালিকদের কুকুরের পুরনো ছবি পাঠাতেন। যদিও ততোদিন অ্যাডামের অত্যাচারে মারা যায় সারমেয়টি।
নির্যাতন চালানোর জন্য একটি বড় শিপিং কন্টেনারকে ব্যবহার করতেন অ্যাডাম। যার নাম দিয়েছিলেন ‘যন্ত্রণা ঘর’। সেখানেই মাসের পর মাস অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন প্রাণীবিজ্ঞানী। এমনকী পৈশাচিক কাণ্ডের ভিডিও করে রাখতেন। বিচারিক শুনানির সময় ভিডিও চালানোর আগে কোর্ট রুম খালি করে দেন বিচারক। কারণ অনেকেই সেই পাশবিকতা সহ্য করতে পারবেন না।
১৮ মাসে পাশবিক অত্যাচারে ৬০টির বেশি কুকুরকে হত্যার ঘটনায় অ্যাডামের বিরুদ্ধে মামলাও হয় ৬০টি। সব অভিযোগ মেনে নিয়েছেন অ্যাডাম। যদিও মক্কলের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলছে বলে যুক্তি তার আইনজীবীর।দেশটির আদালতে আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলায় ২৪৯ বছরের সাজা পেতে চলেছেন এই কুমির বিজ্ঞানী।