ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ হাজার ভোল্টের তারে পুড়লো দুই মেয়েসহ মা-বাবা, পুড়লো লেপ-তোশকও

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলো- ওই গ্রামের ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সাবিনা আক্তার (৯), সামিয়া বেগম (১৫) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। আহত আরেক মেয়ে সোনিয়া বেগমকে (১২) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে ৫ জনের মরদেহ রাখা। মরদেহ বহনের জন্য আনা হয়েছে ৫টি খাটিয়া। ঘরের ভেতর বিদ্যুতের তার, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মিটার। পুড়ে গেছে খাটের লেপ-তোশকও।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের একপাশে টিনের চালা ও বেড়ার ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন ফয়জুর রহমান। তাদের ঘরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির পতিত জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন ফয়জুর রহমান।

তার ঘরের পাশ ঘেঁষে জামে মসজিদ। ওই মসজিদের শিক্ষক আনোয়ার আশরাফ সিদ্দিকী বললেন, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটিতে আগুন জ্বলতে দেখতে পান।

তিনি আরও বলেন, এরপর তারা ফয়জুরের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে ঘরের দরজা লাগানো। ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় একজনের ওপর আরেকজনের লাশ পড়ে আছে। এরপর তারা ফায়ার সার্ভিস, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগ ও জুড়ী থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সারোআর আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ,ইউএনও লুসিকান্ত হাজং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বি এম মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত কোনো ঘরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয় না। লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। এখন লাইনটি সরানো হবে। দগ্ধ শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

১১ হাজার ভোল্টের তারে পুড়লো দুই মেয়েসহ মা-বাবা, পুড়লো লেপ-তোশকও

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলো- ওই গ্রামের ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সাবিনা আক্তার (৯), সামিয়া বেগম (১৫) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। আহত আরেক মেয়ে সোনিয়া বেগমকে (১২) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে ৫ জনের মরদেহ রাখা। মরদেহ বহনের জন্য আনা হয়েছে ৫টি খাটিয়া। ঘরের ভেতর বিদ্যুতের তার, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মিটার। পুড়ে গেছে খাটের লেপ-তোশকও।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের একপাশে টিনের চালা ও বেড়ার ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন ফয়জুর রহমান। তাদের ঘরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির পতিত জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন ফয়জুর রহমান।

তার ঘরের পাশ ঘেঁষে জামে মসজিদ। ওই মসজিদের শিক্ষক আনোয়ার আশরাফ সিদ্দিকী বললেন, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটিতে আগুন জ্বলতে দেখতে পান।

তিনি আরও বলেন, এরপর তারা ফয়জুরের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে ঘরের দরজা লাগানো। ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় একজনের ওপর আরেকজনের লাশ পড়ে আছে। এরপর তারা ফায়ার সার্ভিস, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগ ও জুড়ী থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সারোআর আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ,ইউএনও লুসিকান্ত হাজং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বি এম মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত কোনো ঘরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয় না। লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। এখন লাইনটি সরানো হবে। দগ্ধ শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবেন।