ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার ইশতেহার এই দিনে ঘোষণা করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৭১ এর মার্চে সময় যত গড়াচ্ছিল ততই উত্তাল হয়ে উঠছিল দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া কর্মসূচি অনুযায়ী, একাত্তরের ৩ মার্চ পল্টনে হয়েছিল স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভা। যেখানে পাঠ করা হয়েছিল স্বাধীনতার ইশতেহার।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চের ওই জনসভায় জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় চার মূলনীতিও ঘোষণা করা হয়।

২ মার্চ ছিল ঢাকায় হরতাল আর ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল। এদিন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ১০ মার্চ জাতীয় পরিষদের দু’প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ ১২ নেতার বৈঠক আহ্বান করেন। তবে বঙ্গবন্ধু বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেন।

৩ মার্চ আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল পল্টনের জনসভার কর্মসূচি। যেখানে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক শাসকদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার শর্ত দেন। সেখানেই বঙ্গবন্ধু তার অনুপস্থিতিতে আন্দোলন সংগ্রাম কীভাবে চলবে তার রূপরেখা দেন এবং ঘোষণা দেন অসহযোগ আন্দোলনের। সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ।

২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বাংলাদেশের যে পতাকা ওড়ানো হয়েছিল, সেই পতাকাকে জাতীয় পতাকা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সঙ্গীত এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয় ইশতেহারে।

কারফিউ ভেঙে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। সারা দেশে সর্বাত্মকভাবে হরতাল পালন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। চট্টগ্রামে সংঘর্ষ, অগ্নিকাণ্ড ও গুলিতে অন্তত ৪০০ মানুষ হতাহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বাধীনতার ইশতেহার এই দিনে ঘোষণা করা হয়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

১৯৭১ এর মার্চে সময় যত গড়াচ্ছিল ততই উত্তাল হয়ে উঠছিল দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া কর্মসূচি অনুযায়ী, একাত্তরের ৩ মার্চ পল্টনে হয়েছিল স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভা। যেখানে পাঠ করা হয়েছিল স্বাধীনতার ইশতেহার।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চের ওই জনসভায় জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় চার মূলনীতিও ঘোষণা করা হয়।

২ মার্চ ছিল ঢাকায় হরতাল আর ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল। এদিন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ১০ মার্চ জাতীয় পরিষদের দু’প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ ১২ নেতার বৈঠক আহ্বান করেন। তবে বঙ্গবন্ধু বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেন।

৩ মার্চ আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল পল্টনের জনসভার কর্মসূচি। যেখানে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক শাসকদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার শর্ত দেন। সেখানেই বঙ্গবন্ধু তার অনুপস্থিতিতে আন্দোলন সংগ্রাম কীভাবে চলবে তার রূপরেখা দেন এবং ঘোষণা দেন অসহযোগ আন্দোলনের। সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ।

২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বাংলাদেশের যে পতাকা ওড়ানো হয়েছিল, সেই পতাকাকে জাতীয় পতাকা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সঙ্গীত এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয় ইশতেহারে।

কারফিউ ভেঙে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। সারা দেশে সর্বাত্মকভাবে হরতাল পালন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। চট্টগ্রামে সংঘর্ষ, অগ্নিকাণ্ড ও গুলিতে অন্তত ৪০০ মানুষ হতাহত হন।