ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ঙ্কর’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোন নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নাই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নাই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে, এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্জাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরণের দূর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। এবং মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যু কতৃক হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ, আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতিমধ্যেই সাধিত হয়েছে।

এরআগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ করে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর আয়োজন করেছেন। এই উৎসবে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টন সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যখন প্রবারণা পূর্ণিমার সময় ফানুস উড়ানো হয় তখন সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে সামিল হয়, ছোটবেলা থেকে আমি নিজেও ফানুস উড়ানো উৎসবে সামিল হতাম। একইভাবে যখন দূর্গাপুজা উৎসব হয় তখনও সব সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে সামিল হয়। অর্থাৎ আমরা এখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সবাই মিলেমিশে একাকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সবার মিলিত রক্তস্্েরাতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা করার জন্য। তাই আজকে যারা এই উৎসবের আয়োজন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা প্রথম জনসভা করে জনসমক্ষে ঘোষণা করেছেন এই লালদীঘির ময়দানে। এর আগে ছয় দফা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু জনসভা করেছিল ছয় দফার ওপরে এই লালদীঘির ময়দানে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান। মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ অনেককে সাথে নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামকে কয়েকদিন স্বাধীন রেখেছিলেন। ১৮৫৭ সালে সুবেদার রজব আলী চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ঙ্কর’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোন নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নাই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নাই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে, এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্জাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরণের দূর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। এবং মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যু কতৃক হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ, আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতিমধ্যেই সাধিত হয়েছে।

এরআগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ করে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর আয়োজন করেছেন। এই উৎসবে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টন সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যখন প্রবারণা পূর্ণিমার সময় ফানুস উড়ানো হয় তখন সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে সামিল হয়, ছোটবেলা থেকে আমি নিজেও ফানুস উড়ানো উৎসবে সামিল হতাম। একইভাবে যখন দূর্গাপুজা উৎসব হয় তখনও সব সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে সামিল হয়। অর্থাৎ আমরা এখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সবাই মিলেমিশে একাকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সবার মিলিত রক্তস্্েরাতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা করার জন্য। তাই আজকে যারা এই উৎসবের আয়োজন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা প্রথম জনসভা করে জনসমক্ষে ঘোষণা করেছেন এই লালদীঘির ময়দানে। এর আগে ছয় দফা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু জনসভা করেছিল ছয় দফার ওপরে এই লালদীঘির ময়দানে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান। মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ অনেককে সাথে নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামকে কয়েকদিন স্বাধীন রেখেছিলেন। ১৮৫৭ সালে সুবেদার রজব আলী চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই।