ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সুপেয় পানি সরবরাহ অন্যতম চ্যালেঞ্জ’

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ । জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ ।

রোববার ( ২৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকার হোটেলে’ শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন ।

অনুষ্ঠানে সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা,ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন । এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম । বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ, আমাদের নানা ক্ষেত্রে আমাদের মিঠা পানির প্রয়োজন হয় । ভূগর্ভস্থ পানের স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে । ভবিষ্যতে পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে । তাই সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে ।

অন্যদিকে, আগারগাঁও এ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ।

বিদেশী ঋণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরে দেশের অর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছে তাতে বিদেশি অনেক বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা রয়েছে । আমাদের মিডিয়ায় বিদেশী ঋণ নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হয়, কিন্তু ঋণ নিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তাতে দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ।

নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি । জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে । যেখানে ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে । ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘সুপেয় পানি সরবরাহ অন্যতম চ্যালেঞ্জ’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ । জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ ।

রোববার ( ২৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকার হোটেলে’ শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন ।

অনুষ্ঠানে সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা,ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন । এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম । বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ, আমাদের নানা ক্ষেত্রে আমাদের মিঠা পানির প্রয়োজন হয় । ভূগর্ভস্থ পানের স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে । ভবিষ্যতে পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে । তাই সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে ।

অন্যদিকে, আগারগাঁও এ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ।

বিদেশী ঋণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরে দেশের অর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছে তাতে বিদেশি অনেক বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা রয়েছে । আমাদের মিডিয়ায় বিদেশী ঋণ নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হয়, কিন্তু ঋণ নিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তাতে দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ।

নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি । জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে । যেখানে ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে । ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে ।