ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিফট-এসি কিনতে বিদেশ সফরে তিন আমলা ও ৭ প্রকৌশলী!

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবনের জন্য লিফট-এসি কিনতে বিদেশ যাচ্ছেন তিন আমলা ও সাত প্রকৌশলী। নতুন এই ভবনটির জন্য কেনা হবে নয়টি লিফট ও ২৪০০ টন ক্ষমতার চিলার এসি। এসব লিফট ও এসির কেনার নামে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩ আমলা ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৭ প্রকৌশলী। তারা পৃথক তিনটি দলে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ও মালয়েশিয়া ভ্রমণ করবেন।

সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা অফিস আদেশে ১০ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের এই তথ্য জানা গেছে।

ওই আদেশে অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থাপনার জন্য ২৪০০ টন চিলার এসি কিনতে মে মাসের ১৬ থেকে ২০ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ নূর মোহাম্মদ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বখতিয়ার আহমেদ ওগণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের ফ্রান্সে যাওয়ার কথা ছিলো। এ সময়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ, অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুশফিক আহমেদ ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিলো।

লিফট কেনার কাজে গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়রা বিনতে রেজা, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনাজ মাসুদ, প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার (নির্বাহী প্রকৌশলী) মাহফুজুল আলমের ১০ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৬ দিন সুইজারল্যান্ড সফরের কথা বলা হয় পৃথক অফিস আদেশে।

জানা গেছে, সচিবালয়ের ২০ তলা ভবনে নয়টি লিফটের জন্য ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি লিফট ১৬০০ কেজি ক্ষমতা। বাকি ৩টির দুটি এক হাজার কেজি এবং একটি ৬৩০ কেজি ক্ষমতার। এছাড়া ২৪০০ টন চিলার এসি কিনতে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৫১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লিফট কেনার জন্য ১৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছিলো। সেখানে কমবেশি ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে ২২ কোটি করা হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পে ফার্নিচার কেনার নামেও ১০ কোটি টাকা খরচ দেখানো হচ্ছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. নবীরুল ইসলাম সংবাধ্যমকে বলেন, যেকোনো পণ্যই কেনার ক্ষেত্রে পিএসআই বিষয়টি প্রকল্পের প্রাক্কলনে উল্লেখ থাকে। আর সেখান থেকে ভ্রমণের খরচ সরবরাহ করা হয়। এখন আমরা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি যে, নতুন যতো প্রাক্কলন হবে, সেখানে ভ্রমণের খরচ আলাদা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লিফট-এসি কিনতে বিদেশ সফরে তিন আমলা ও ৭ প্রকৌশলী!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবনের জন্য লিফট-এসি কিনতে বিদেশ যাচ্ছেন তিন আমলা ও সাত প্রকৌশলী। নতুন এই ভবনটির জন্য কেনা হবে নয়টি লিফট ও ২৪০০ টন ক্ষমতার চিলার এসি। এসব লিফট ও এসির কেনার নামে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩ আমলা ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৭ প্রকৌশলী। তারা পৃথক তিনটি দলে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ও মালয়েশিয়া ভ্রমণ করবেন।

সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা অফিস আদেশে ১০ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের এই তথ্য জানা গেছে।

ওই আদেশে অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থাপনার জন্য ২৪০০ টন চিলার এসি কিনতে মে মাসের ১৬ থেকে ২০ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ নূর মোহাম্মদ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বখতিয়ার আহমেদ ওগণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের ফ্রান্সে যাওয়ার কথা ছিলো। এ সময়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ, অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুশফিক আহমেদ ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিলো।

লিফট কেনার কাজে গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়রা বিনতে রেজা, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনাজ মাসুদ, প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার (নির্বাহী প্রকৌশলী) মাহফুজুল আলমের ১০ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৬ দিন সুইজারল্যান্ড সফরের কথা বলা হয় পৃথক অফিস আদেশে।

জানা গেছে, সচিবালয়ের ২০ তলা ভবনে নয়টি লিফটের জন্য ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি লিফট ১৬০০ কেজি ক্ষমতা। বাকি ৩টির দুটি এক হাজার কেজি এবং একটি ৬৩০ কেজি ক্ষমতার। এছাড়া ২৪০০ টন চিলার এসি কিনতে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৫১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লিফট কেনার জন্য ১৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছিলো। সেখানে কমবেশি ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে ২২ কোটি করা হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পে ফার্নিচার কেনার নামেও ১০ কোটি টাকা খরচ দেখানো হচ্ছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. নবীরুল ইসলাম সংবাধ্যমকে বলেন, যেকোনো পণ্যই কেনার ক্ষেত্রে পিএসআই বিষয়টি প্রকল্পের প্রাক্কলনে উল্লেখ থাকে। আর সেখান থেকে ভ্রমণের খরচ সরবরাহ করা হয়। এখন আমরা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি যে, নতুন যতো প্রাক্কলন হবে, সেখানে ভ্রমণের খরচ আলাদা করা হবে।