‘মোগো সব গ্যাঙ্গে লইয়্যা গ্যাছে, মোরা এ্যাহন কোম্মে থাকমু’
![](https://bangla-times.com/wp-content/themes/Newspaper%20pro/assets/images/reporter.jpg)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
‘মোগো সব গাঙ্গে লইয়্যা গ্যাছে। মোরা এ্যাহন কোম্মে থাকমু। আলহে থাকার একটা ঘর হ্যাও বইন্যায় বাঁধ ভাইঙ্গা শ্যাষ অইছে। এ্যাহন আর থাহার জায়গা নাই। পোলাপান নাতি লইয়্যা মোগো ঢাহা যাওয়া লাগবে। পোলায় মাছ আনাচ ধইর্যা সোংসার চালাইতে আর এই ঘরডায় থাকতাম, এ্যাহন থাকমু কোম্মে। আল্লায় মোগো সব লইয়্যা গ্যাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোরে যদি একটা থাহার ঘর দেতে হ্যালে মুই বুড়া বয়সে থাকতে পারতাম।’ কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেছেন পশুবুনিয়া এলাকার বৃদ্ধা সুর্য্যভানু।
জানা গেছে, বরগুনার আমদরী উপজেলার পশুরবুনিয়া গ্রামের মজিদ তালুকদার একসময় তিন একর জমির মালিক ছিলেন। গত ২০ বছরে পায়রা নদীর ভাঙণে তার সব জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পশুরবুনিয়া পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতর শুধু ঘর বানানোর মতো একখন্ড জমি ছিলো। ওই জমিতে মৃত্যু মজিদ তালুকদারের স্ত্রী সুর্য্যভানু একটা দো-চালের ঘর উঠিয় দুই ছেলে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে বাঁধ ভেঙ্গে ওই ঘর তছনছ হয়ে গেছে। এখন তার মাথা গোঁজার মতো ঠাই নেই। তিনি চোখে অন্ধকার দেখছেন। দুই ছেলে ও তার নাতি-নাতনি নিয়ে এখন তিনি কোথায় দাঁড়াবেন? তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকার জায়গা ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
![](https://i0.wp.com/bangla-times.com/wp-content/uploads/2024/05/AMTALI-BAD-1024x603.webp?resize=1024%2C603&ssl=1)
স্থানীয় ইসহাক মুসুল্লী বলেন, ওই বৃদ্ধা নারীর ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। কিন্তু সেটাও বন্যায় ভেঙে গেছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, বৃদ্ধা সুর্য্য ভানুর থাকার মতো কোন জায়গা নেই। ইউএনওর সাথে কথা বলে তাকে সরকারী জমিতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
আমতলী ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সুর্য্য ভানুর মতো যারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের পূর্নবাসন করা হবে।