ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণ হয় তেলিয়াপাড়ায়

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু, হবিগঞ্জ
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ৪ এপ্রিল । ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। ৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ১১টি সেক্টর ও তিনটি ব্রিগেডে ভাগ করা হয়। জেনারেল এমএজি ওসমানীযুদ্ধের সূচনা ঘোষণা করেন নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এই স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি। চা বাগান কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্মাণ হয়নি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় জেনারেল এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তা মিলিত হন। এখান থেকে নেয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে। জেনারেল ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে এখান থেকেই যুদ্ধের সুচনা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর সেখানে বুলেট আকৃতির দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়। এমন ঐতিহাসিক স্থানটি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রয়ে গেছে চরম অবহেলিত। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার সাধারণ মানুষদের দাবি, দ্রুত এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক।

কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন জানান, ২০১১ সালের ৭মে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদ খান বীরবিক্রম এখানে কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন। এজন্য প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করলে বাগানের পরিবেশ নষ্ট হবে এনটিসির এমন দাবির অযুহাতে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণ হয় তেলিয়াপাড়ায়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

আজ ৪ এপ্রিল । ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। ৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ১১টি সেক্টর ও তিনটি ব্রিগেডে ভাগ করা হয়। জেনারেল এমএজি ওসমানীযুদ্ধের সূচনা ঘোষণা করেন নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এই স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি। চা বাগান কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্মাণ হয়নি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় জেনারেল এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তা মিলিত হন। এখান থেকে নেয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে। জেনারেল ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে এখান থেকেই যুদ্ধের সুচনা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর সেখানে বুলেট আকৃতির দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়। এমন ঐতিহাসিক স্থানটি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রয়ে গেছে চরম অবহেলিত। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার সাধারণ মানুষদের দাবি, দ্রুত এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক।

কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন জানান, ২০১১ সালের ৭মে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদ খান বীরবিক্রম এখানে কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন। এজন্য প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করলে বাগানের পরিবেশ নষ্ট হবে এনটিসির এমন দাবির অযুহাতে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।