ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণের ফোন আসেনি, জিম্মি আবদুল্লাহর অবস্থান পরিবর্তন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কেএসআরএমের মালিকানাধীন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে আগের অবস্থান থেকে আরও ৪৫-৫০ কিলোমিটার সরিয়ে নিয়েছে। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া এই জাহাজটি এখন সোমালিয়া উপকূলের গদবজিরান শহরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গদবজিরান সোমালিয়ার নুগাল প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলা শহর, যে এলাকাকে গদবজিরান জেলার কেন্দ্রস্থল ধরা হয়। জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) জানিয়েছে, জাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) যেখানে নোঙ্গর ফেলেছিল, সেখান থেকে ৪৫ থেকে ৫০ মাইল উত্তরে সরে গেছে। সেটি এখন সোমালিয়ার গদবজিরান উপক‚ল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে নোঙ্গর করা হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে জানান বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজটি সোমালিয়া উপক‚লে গারাকাদ বন্দরের কাছাকাছিতে নোঙ্গর করা হয়েছিল। এরপর দস্যুদের আরেকটি দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি আবার অবস্থান পাল্টাতে থাকে। জলদস্যুদের কেউ এখনও মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি বলে তিনি জানান।

জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে দোভাষীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আলাপ সারছেন। ইশারায় টুকটাক কথাবার্তা চলছে দস্যুদের সঙ্গে। তবে তাদের দাবি বা জাহাজ মুক্তির ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।

জলদস্যুরা নাবিকদের বাসস্থান বা একোমোডেশন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে তাদের নেতাগোছের ২৩ জন দস্যু পাইলটের কেবিন দখল করে সেখানে অবস্থান করছে। বাকি দস্যুরা রাতে ব্রিজ উইংয়ে বা ব্রিজের দুই পাশের খোলা ডেকে অবস্থান করছে। নাবিকরা জাহাজের স্টোর রুম হতে চাদর, বালিশ ইত্যাদি দস্যুদের সরবরাহ করেছে। জাহাজের সিকিউরিটিসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ দস্যুদের হাতে। তারা জাহাজের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিনগান আর একে-৪৭ রাইফেলসহ অবস্থান করছে।

নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানকারী ক্যাপ্টেন আতিক খান বলেন, জলদস্যুরা দিনের বেলা সব নাবিককে ব্রিজে থাকা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর ফোন ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। জলদস্যুরা নাবিকদের স্থানীয় সিমকার্ড এনে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

তিনি জানান, দস্যুরা নাবিকদের জাহাজের সাধারণ রুটিন মেনে চলার জন্য অনুমতি দিয়েছে। জাহাজটির ইঞ্জিনিয়াররা ইঞ্জিন রুমে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। ইঞ্জিনরুমে দস্যুদের কোনো পাহারা নেই। ডেক অফিসাররাও কার্গো হোল্ডের ৫৫ হাজার টন কয়লার তাপমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন; যাতে কয়লার তাপমাত্রা আর হোল্ডের অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে কয়লায় বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুরা জাহাজের নাবিকদের জিম্মি করে।

জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।

বিএমএমওএ জানিয়েছে, জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের ও ২ জন নোয়াখালীর। বাকি ১০ জন যথাক্রমে ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, খুলনা, নেত্রকোনা, ল²ীপুর, ফেনী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল জেলার।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। ১৯ মার্চ গ্রিনিচ সময় রাত ৮টায় জাহাজটি সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কেএসআরএম গ্রæপের মোট ২৩টি জাহাজ আছে, যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে। ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ গত বছর কেএসআরএম গ্রæপের মালিকানায় আসে।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের উপক‚লে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মুক্তিপণের ফোন আসেনি, জিম্মি আবদুল্লাহর অবস্থান পরিবর্তন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামের কেএসআরএমের মালিকানাধীন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে আগের অবস্থান থেকে আরও ৪৫-৫০ কিলোমিটার সরিয়ে নিয়েছে। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া এই জাহাজটি এখন সোমালিয়া উপকূলের গদবজিরান শহরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গদবজিরান সোমালিয়ার নুগাল প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলা শহর, যে এলাকাকে গদবজিরান জেলার কেন্দ্রস্থল ধরা হয়। জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) জানিয়েছে, জাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) যেখানে নোঙ্গর ফেলেছিল, সেখান থেকে ৪৫ থেকে ৫০ মাইল উত্তরে সরে গেছে। সেটি এখন সোমালিয়ার গদবজিরান উপক‚ল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে নোঙ্গর করা হয়েছে।

এখনো পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে জানান বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজটি সোমালিয়া উপক‚লে গারাকাদ বন্দরের কাছাকাছিতে নোঙ্গর করা হয়েছিল। এরপর দস্যুদের আরেকটি দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি আবার অবস্থান পাল্টাতে থাকে। জলদস্যুদের কেউ এখনও মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি বলে তিনি জানান।

জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে দোভাষীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আলাপ সারছেন। ইশারায় টুকটাক কথাবার্তা চলছে দস্যুদের সঙ্গে। তবে তাদের দাবি বা জাহাজ মুক্তির ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।

জলদস্যুরা নাবিকদের বাসস্থান বা একোমোডেশন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে তাদের নেতাগোছের ২৩ জন দস্যু পাইলটের কেবিন দখল করে সেখানে অবস্থান করছে। বাকি দস্যুরা রাতে ব্রিজ উইংয়ে বা ব্রিজের দুই পাশের খোলা ডেকে অবস্থান করছে। নাবিকরা জাহাজের স্টোর রুম হতে চাদর, বালিশ ইত্যাদি দস্যুদের সরবরাহ করেছে। জাহাজের সিকিউরিটিসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ দস্যুদের হাতে। তারা জাহাজের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিনগান আর একে-৪৭ রাইফেলসহ অবস্থান করছে।

নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানকারী ক্যাপ্টেন আতিক খান বলেন, জলদস্যুরা দিনের বেলা সব নাবিককে ব্রিজে থাকা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর ফোন ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। জলদস্যুরা নাবিকদের স্থানীয় সিমকার্ড এনে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

তিনি জানান, দস্যুরা নাবিকদের জাহাজের সাধারণ রুটিন মেনে চলার জন্য অনুমতি দিয়েছে। জাহাজটির ইঞ্জিনিয়াররা ইঞ্জিন রুমে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। ইঞ্জিনরুমে দস্যুদের কোনো পাহারা নেই। ডেক অফিসাররাও কার্গো হোল্ডের ৫৫ হাজার টন কয়লার তাপমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন; যাতে কয়লার তাপমাত্রা আর হোল্ডের অক্সিজেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে কয়লায় বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুরা জাহাজের নাবিকদের জিম্মি করে।

জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।

বিএমএমওএ জানিয়েছে, জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের ও ২ জন নোয়াখালীর। বাকি ১০ জন যথাক্রমে ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, খুলনা, নেত্রকোনা, ল²ীপুর, ফেনী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল জেলার।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। ১৯ মার্চ গ্রিনিচ সময় রাত ৮টায় জাহাজটি সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কেএসআরএম গ্রæপের মোট ২৩টি জাহাজ আছে, যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে। ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ গত বছর কেএসআরএম গ্রæপের মালিকানায় আসে।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের উপক‚লে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।