ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১৭৭ বিজিপির আশ্রয় স্কুলে

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতা কামী আরকান বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন সদস্য ও ২জন দোভাষীসহ সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া হলো নাক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদরের (বিজিবি) ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির মোট ১৭৭জন সদস্যসহ ২ জন দোভাষী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে এসে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এসব বিজিপি সদস্যদেরকে নিরস্ত্র করে রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।তবে এসব আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যদের পরবর্তীতে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে।তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা,অন্যান্যদের খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে বিজিবি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সীমান্তের ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকার জামছড়ি দিয়ে সোমবার সকালে ২৯জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছিলো।পরে রাতে নতুন করে আরো ১৫০ জন সদস্য প্রবেশ করে। এদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে।সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী সাথে তুমুল যুদ্ধের গোলাগুলিতে একটি বুলেট ছুড়ে এসে পড়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে।সে সময় বুলেটের আঘাতে আহত হয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ছাবের আহম্মদ।তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপাচারের(অপারেশন) মাধ্যমে কোমরে আঘাত করা বুলেটটি বের করা হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা

এদিকে সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৭ জন সদস্যসহ ২জন দোভাষী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ২জন দোভাষী কে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশ ব্যাক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ২৯ জন ও রাতে ১৫০ জন মিলে সর্বমোট ১৭৯ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিচয় সনাক্তকরণ কাজ চলছে। আন্ত মন্ত্রনালয়ের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্বান্ত মোতাবেক কার্যক্রম চলবে।এছাড়া ১৭৯ জনকে সংকুলান হওয়ায় একই স্থানে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে রাখা হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়ার পর আগের মতো তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বান্দরবানের তুমর্রু ও ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১০১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছিল।উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে গেলো ১৫ ফের্রুয়ারী কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১৭৭ বিজিপির আশ্রয় স্কুলে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতা কামী আরকান বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন সদস্য ও ২জন দোভাষীসহ সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া হলো নাক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদরের (বিজিবি) ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির মোট ১৭৭জন সদস্যসহ ২ জন দোভাষী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে এসে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এসব বিজিপি সদস্যদেরকে নিরস্ত্র করে রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।তবে এসব আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যদের পরবর্তীতে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে।তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা,অন্যান্যদের খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে বিজিবি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সীমান্তের ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকার জামছড়ি দিয়ে সোমবার সকালে ২৯জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছিলো।পরে রাতে নতুন করে আরো ১৫০ জন সদস্য প্রবেশ করে। এদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত রয়েছে।সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী সাথে তুমুল যুদ্ধের গোলাগুলিতে একটি বুলেট ছুড়ে এসে পড়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে।সে সময় বুলেটের আঘাতে আহত হয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ছাবের আহম্মদ।তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপাচারের(অপারেশন) মাধ্যমে কোমরে আঘাত করা বুলেটটি বের করা হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা

এদিকে সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৭ জন সদস্যসহ ২জন দোভাষী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ২জন দোভাষী কে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশ ব্যাক করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ২৯ জন ও রাতে ১৫০ জন মিলে সর্বমোট ১৭৯ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিচয় সনাক্তকরণ কাজ চলছে। আন্ত মন্ত্রনালয়ের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্বান্ত মোতাবেক কার্যক্রম চলবে।এছাড়া ১৭৯ জনকে সংকুলান হওয়ায় একই স্থানে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে রাখা হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়ার পর আগের মতো তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বান্দরবানের তুমর্রু ও ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১০১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছিল।উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে গেলো ১৫ ফের্রুয়ারী কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।