ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলার সাক্ষী হওয়ায় ইমাম কারাগারে, মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু, সালথা (ফরিদপুর)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের সালথায় এক নারী ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের এক ইমামের নামে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার খবর জানতে পেরে থানায় খোঁজ নিতে গেলে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ইমামের পরিবারের সদস্যরা। সালথা উপজেলার আটঘর গ্রামের মধ্য পাড়ায় কমির উদ্দিনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিটন মোল্লা (৩৮) বলেন, সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন আটঘর জামিয়া মাদানিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ ওরফে খোকন মোল্লা (৪৫), তার চাচাতো ভাই মাওলানা শাহজাহান মোল্লা (৬৫), পান্নু মোল্লা (৪৫) ও কোমরউদ্দিন মোল্লা (৭৫)।

মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও এই মামলার আসামি আটঘর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার লতিফ মোল্লা (৫৫) আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজি মামলার আরেক আসামি মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগম তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে ১২ মে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মামলা দায়ের করার পরের রাতেই পুলিশ আসামিদের বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে পুরুষ সদস্যরা ছিলেন না। পরে বাড়িতে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে খোকন মোল্লা ও শাহজাহান মোল্লা সহ চারজন থানায় যান। পুলিশ একজন থেকে তিনজনকে বাড়ি চলে যেতে বললে খোকন মোল্লা থেকে যান। পরে খোকন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরেরদিন রাজিয়া বেগমের চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে চালান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কমিরউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৬৮), পান্নু মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৬), খোকন মোল্লার বড় ভাই দেলোয়ার মোল্লা (৬০), জয়নব বেগম (৪৫), ফহম মোল্লা (৬১),ওহিদ মোল্লা, বিশু মোল্লা, পিকুল মোল্লা, আফতাব মাতুব্বর (৫৫), সোনিয়া বেগম, মোসাঃ সামেলা বেগম সহ অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী ও জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মামলার সাক্ষী হওয়ায় ইমাম কারাগারে, মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ফরিদপুরের সালথায় এক নারী ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের এক ইমামের নামে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার খবর জানতে পেরে থানায় খোঁজ নিতে গেলে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ইমামের পরিবারের সদস্যরা। সালথা উপজেলার আটঘর গ্রামের মধ্য পাড়ায় কমির উদ্দিনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিটন মোল্লা (৩৮) বলেন, সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন আটঘর জামিয়া মাদানিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ ওরফে খোকন মোল্লা (৪৫), তার চাচাতো ভাই মাওলানা শাহজাহান মোল্লা (৬৫), পান্নু মোল্লা (৪৫) ও কোমরউদ্দিন মোল্লা (৭৫)।

মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও এই মামলার আসামি আটঘর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার লতিফ মোল্লা (৫৫) আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজি মামলার আরেক আসামি মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগম তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে ১২ মে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মামলা দায়ের করার পরের রাতেই পুলিশ আসামিদের বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে পুরুষ সদস্যরা ছিলেন না। পরে বাড়িতে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে খোকন মোল্লা ও শাহজাহান মোল্লা সহ চারজন থানায় যান। পুলিশ একজন থেকে তিনজনকে বাড়ি চলে যেতে বললে খোকন মোল্লা থেকে যান। পরে খোকন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরেরদিন রাজিয়া বেগমের চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে চালান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কমিরউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৬৮), পান্নু মোল্লার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৬), খোকন মোল্লার বড় ভাই দেলোয়ার মোল্লা (৬০), জয়নব বেগম (৪৫), ফহম মোল্লা (৬১),ওহিদ মোল্লা, বিশু মোল্লা, পিকুল মোল্লা, আফতাব মাতুব্বর (৫৫), সোনিয়া বেগম, মোসাঃ সামেলা বেগম সহ অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী ও জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।