ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধুমতির মাসুদ কারাগারে, নতুন সিন্ডিকেট মাসিদুলের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিv
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মধুমতি এনজিওর প্রতারণার গল্প এখন সব মহলে আলোচিত। গ্রাহকের শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ওই সিন্ডিকেটের ৮ সদস্য কারাগারে। বাকিরা আত্মগোপনে। মধুমতির সেই আলোচিত মাসুদ এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। এই সুযোগে টাকা আত্মসাতে নতুন একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। নয়ছয় হচ্ছে গ্রাহকের টাকা।

অভিযোগ উঠেছে, মধুমতির গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন শহরের বটতলা হাট এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে মাসিদুল ইসলাম। যিনি নিজেকে একেক সময় একেক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দেন।

জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট শিবনারায়ণপুরের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা। তিনি মধুমতি মাসুদ নামে বেশি পরিচিত। ২০১৪ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ‘মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে এনজিও’র নিবন্ধন নেন। সেখানে প্রতি লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ১২০০ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪৬টি শাখা খোলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের লোভকে পুঁজি করে ৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। পরে এনজিও’র টাকায় ২৩টি ট্রাক, প্রিন্টিং প্রেস, গরুর খামার, গাড়ল খামার, লবণ, মসলা, ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত শুরু করেন। নাম দেয়া হয় মধুমিত গ্রুপ। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ রানা। অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই মাসুদ রানা স্বেচ্ছায় অস্ত্রসহ আটক হন।

অনুসন্ধান বলছে, মাসুদ রানা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর একটি ‘সিন্ডিকেট’ গড়ে উঠেছে। মধুমতির আর্থিক কেলেঙ্কারিকে পুজি করে গ্রাহকদের ডেকে এনে আদালতে প্রায় ৩০০ মামলা করেছে চক্রটি। যারা মধুমতি এনজিওর আর্থিক লেনদেনে জড়িত নয় এমন অনেককে আসামি করা হয়েছে। অথচ মধুমতি এনজিওর শাখার ম্যানেজার ও প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন, এরিয়া প্রধান তানভীর আলীকে আসামি করা হয়নি। যারা গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে সরাসরি জড়িত।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রাহকের ৭০ কোটি আমানত সংগ্রহ করে মধুমতি। তবে এর বিপোরীতে ঋণ দেয়া আছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। যে টাকা এখন এনজিওর শাখা ম্যানেজারদের নিয়ন্ত্রণে। ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে গড়ে উঠা মামলাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘মধুমতির প্রতারনায় ভূক্তভোগি পরিবার’ নামে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপও খুলেছে ওই সিন্ডিকেট।

মধুমতি এনজিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালত কেন্দ্রিক গড়ে উঠা ওই সিন্ডিকেট এনজিওর শাখা ম্যানেজারদের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়েছে ওই চক্রটি। একই মামলার আসামি করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেক নিয়েছেন তারা। এরপর একেরপর এক মামলা দেয়া হচ্ছে।

কারণ হিসেবে তারা বলছেÑ মাসুদ রানা জামিনে বেরিয়ে আসলে শাখা ম্যানেজারদের গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ দেয়াসহ আয় ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। এ জন্য মাসুদ রানাকে কারাগারে আটকে রাখার কৌশল হিসেবে ২ শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। যারা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে পারেন তাদেরকেও অযৌক্তিভাবে আসামি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, কারাগার থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাসুদ রানা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেনÑ জনগণের কাছ থেকে তিনি আমানত সংগ্রহ করেছেন প্রায় ৭০ কোটি টাকা এর বিপরীতে ঋণ দিয়েছেন ৪৮ কোটি টাকার বেশি। ১৫-২০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে মধুমতির নামে। তিনি জেল থেকে বের হয়ে কয়েক মাস সুযোগ পেলে গ্রাহকদের আমানতের সব টাকা পরিশোধ করা সম্ভব।

অভিযোগে আরও বলেন, তিনি কারাগারে থাকার সুযোগে মধুমতির টাকা আত্মসাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে উঠেছে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বেঞ্চ সহকারি রাশিদুল ইসলাম ও শহরের বটতলা হাট এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে মাসিদুল ইসলাম এ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তারা শাখা ম্যানেজারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সবার কাছে ফাঁকা চেক ও নগদ টাকা নিয়েছেন। এরা প্রতিদিনই মাঠ পর্যায় থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন আর আতœসাত করছেন। মাসিদুল ইসলাম নিজেকে এনএসআইয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে তার কাছে ৫৭ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। মধুমতির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন, এরিয়া প্রধান তানভীর আলী এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে থাকা মধুমতির বিপুল পরিমান টাকা উঠিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। জনগণের টাকা আত্মসাতে জন্য তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি কারাগারে বন্দি থাকলে মধুমতির ৪৮ কোটি টাকা নয়ছয় হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রাহকরা।

মধুমতির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন তার নামে গ্রাহকের টাকায় কেনা ৮ কাঠা জমি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মধুমতির আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার নামে কোন মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এদিকে বক্তব্য জানতে মাসিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মধুমতির মাসুদ কারাগারে, নতুন সিন্ডিকেট মাসিদুলের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মধুমতি এনজিওর প্রতারণার গল্প এখন সব মহলে আলোচিত। গ্রাহকের শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ওই সিন্ডিকেটের ৮ সদস্য কারাগারে। বাকিরা আত্মগোপনে। মধুমতির সেই আলোচিত মাসুদ এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। এই সুযোগে টাকা আত্মসাতে নতুন একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। নয়ছয় হচ্ছে গ্রাহকের টাকা।

অভিযোগ উঠেছে, মধুমতির গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন শহরের বটতলা হাট এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে মাসিদুল ইসলাম। যিনি নিজেকে একেক সময় একেক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দেন।

জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট শিবনারায়ণপুরের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা। তিনি মধুমতি মাসুদ নামে বেশি পরিচিত। ২০১৪ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ‘মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে এনজিও’র নিবন্ধন নেন। সেখানে প্রতি লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ১২০০ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪৬টি শাখা খোলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের লোভকে পুঁজি করে ৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। পরে এনজিও’র টাকায় ২৩টি ট্রাক, প্রিন্টিং প্রেস, গরুর খামার, গাড়ল খামার, লবণ, মসলা, ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত শুরু করেন। নাম দেয়া হয় মধুমিত গ্রুপ। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ রানা। অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই মাসুদ রানা স্বেচ্ছায় অস্ত্রসহ আটক হন।

অনুসন্ধান বলছে, মাসুদ রানা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর একটি ‘সিন্ডিকেট’ গড়ে উঠেছে। মধুমতির আর্থিক কেলেঙ্কারিকে পুজি করে গ্রাহকদের ডেকে এনে আদালতে প্রায় ৩০০ মামলা করেছে চক্রটি। যারা মধুমতি এনজিওর আর্থিক লেনদেনে জড়িত নয় এমন অনেককে আসামি করা হয়েছে। অথচ মধুমতি এনজিওর শাখার ম্যানেজার ও প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন, এরিয়া প্রধান তানভীর আলীকে আসামি করা হয়নি। যারা গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে সরাসরি জড়িত।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রাহকের ৭০ কোটি আমানত সংগ্রহ করে মধুমতি। তবে এর বিপোরীতে ঋণ দেয়া আছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। যে টাকা এখন এনজিওর শাখা ম্যানেজারদের নিয়ন্ত্রণে। ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে গড়ে উঠা মামলাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘মধুমতির প্রতারনায় ভূক্তভোগি পরিবার’ নামে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি গ্রুপও খুলেছে ওই সিন্ডিকেট।

মধুমতি এনজিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদালত কেন্দ্রিক গড়ে উঠা ওই সিন্ডিকেট এনজিওর শাখা ম্যানেজারদের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়েছে ওই চক্রটি। একই মামলার আসামি করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেক নিয়েছেন তারা। এরপর একেরপর এক মামলা দেয়া হচ্ছে।

কারণ হিসেবে তারা বলছেÑ মাসুদ রানা জামিনে বেরিয়ে আসলে শাখা ম্যানেজারদের গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ দেয়াসহ আয় ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। এ জন্য মাসুদ রানাকে কারাগারে আটকে রাখার কৌশল হিসেবে ২ শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। যারা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে পারেন তাদেরকেও অযৌক্তিভাবে আসামি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, কারাগার থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাসুদ রানা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেনÑ জনগণের কাছ থেকে তিনি আমানত সংগ্রহ করেছেন প্রায় ৭০ কোটি টাকা এর বিপরীতে ঋণ দিয়েছেন ৪৮ কোটি টাকার বেশি। ১৫-২০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে মধুমতির নামে। তিনি জেল থেকে বের হয়ে কয়েক মাস সুযোগ পেলে গ্রাহকদের আমানতের সব টাকা পরিশোধ করা সম্ভব।

অভিযোগে আরও বলেন, তিনি কারাগারে থাকার সুযোগে মধুমতির টাকা আত্মসাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে উঠেছে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বেঞ্চ সহকারি রাশিদুল ইসলাম ও শহরের বটতলা হাট এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে মাসিদুল ইসলাম এ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তারা শাখা ম্যানেজারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সবার কাছে ফাঁকা চেক ও নগদ টাকা নিয়েছেন। এরা প্রতিদিনই মাঠ পর্যায় থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন আর আতœসাত করছেন। মাসিদুল ইসলাম নিজেকে এনএসআইয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে তার কাছে ৫৭ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। মধুমতির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন, এরিয়া প্রধান তানভীর আলী এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে থাকা মধুমতির বিপুল পরিমান টাকা উঠিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। জনগণের টাকা আত্মসাতে জন্য তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি কারাগারে বন্দি থাকলে মধুমতির ৪৮ কোটি টাকা নয়ছয় হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রাহকরা।

মধুমতির জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম হোসেন তার নামে গ্রাহকের টাকায় কেনা ৮ কাঠা জমি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মধুমতির আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার নামে কোন মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এদিকে বক্তব্য জানতে মাসিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।