ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজান মানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে আমাদের কিছু কিছু মানুষ থাকে সব সময় মজুতদারি করে দাম বাড়িয়ে কিছু মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে বিশেষভাবে নজর আমাদের দিতে হবে। আশু করণীয় একটা কাজ আমাদের সামনে। কোথাও যেন ভোক্তাদের হয়রানি হতে না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। পর নির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে। এটা যে আমরা করতে পারি, সেটা আমরা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছি। সেদিকে নজর একান্তভাবে দরকার।’

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস সামনে রেখেই এই কথাগুলো আমি সবাইকে বললাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারে সেদিকে সবাইকে যথাযথভাবে নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ এর অতিমারি, যার প্রভাব সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়েছে। পৃথিবীতে এখন এমন এমন দেশ আছে যেখানে মূল্যস্ফীতি ৪০ ভাগও আছে। এ রকম বহু দেশ এখন বিরাজ মান। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে না। যদিও বাংলাদেশর মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ ভাগের নিচেই আছে। তারপরও এটা একটা সমস্যা রয়ে গেছে। সেদিকে আমাদের সব থেকে বেশি লক্ষ রাখতে হবে যে, আমাদের বাজার পরিস্থিতি কেমন, আর তাছাড়া সামনে রোজা আসবে।

জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন আমি দেখেছি, প্রত্যক্ষভাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখেছি; কীভাবে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এবারের নির্বাচন আমি মনে করি যে, সব থেকে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা নির্বাচনই চায়নি, যাদের লক্ষ্য ছিল এ দেশে যেন কোনো নির্বাচনই না হয়-অনির্বাচিত; অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হয়, পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ২১ বছর এ দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে, এরপর আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত, সেই পরিস্থিতি যেন আসে। তাদের কাছে হয়তো নির্বাচনটা পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ তাদের মন মতো কাজ হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ, একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মহিলা এবং প্রথমবার যারা ভোটার; তরুণ ভোটাররা, তাদের আগ্রহ সব থেকে বেশি ছিল। তারা যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, এটার সমস্ত কৃতিত্ব আপনাদেরই-আমি মনে করি, যারা নির্বাচনী কাজে সাহায্যে ছিলেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

রমজান মানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে আমাদের কিছু কিছু মানুষ থাকে সব সময় মজুতদারি করে দাম বাড়িয়ে কিছু মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে বিশেষভাবে নজর আমাদের দিতে হবে। আশু করণীয় একটা কাজ আমাদের সামনে। কোথাও যেন ভোক্তাদের হয়রানি হতে না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। পর নির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে। এটা যে আমরা করতে পারি, সেটা আমরা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছি। সেদিকে নজর একান্তভাবে দরকার।’

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস সামনে রেখেই এই কথাগুলো আমি সবাইকে বললাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারে সেদিকে সবাইকে যথাযথভাবে নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ এর অতিমারি, যার প্রভাব সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়েছে। পৃথিবীতে এখন এমন এমন দেশ আছে যেখানে মূল্যস্ফীতি ৪০ ভাগও আছে। এ রকম বহু দেশ এখন বিরাজ মান। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে না। যদিও বাংলাদেশর মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ ভাগের নিচেই আছে। তারপরও এটা একটা সমস্যা রয়ে গেছে। সেদিকে আমাদের সব থেকে বেশি লক্ষ রাখতে হবে যে, আমাদের বাজার পরিস্থিতি কেমন, আর তাছাড়া সামনে রোজা আসবে।

জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন আমি দেখেছি, প্রত্যক্ষভাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখেছি; কীভাবে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এবারের নির্বাচন আমি মনে করি যে, সব থেকে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা নির্বাচনই চায়নি, যাদের লক্ষ্য ছিল এ দেশে যেন কোনো নির্বাচনই না হয়-অনির্বাচিত; অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হয়, পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ২১ বছর এ দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে, এরপর আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত, সেই পরিস্থিতি যেন আসে। তাদের কাছে হয়তো নির্বাচনটা পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ তাদের মন মতো কাজ হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ, একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মহিলা এবং প্রথমবার যারা ভোটার; তরুণ ভোটাররা, তাদের আগ্রহ সব থেকে বেশি ছিল। তারা যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, এটার সমস্ত কৃতিত্ব আপনাদেরই-আমি মনে করি, যারা নির্বাচনী কাজে সাহায্যে ছিলেন।’