ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হঠাৎ করেই প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে গরমের তীব্রতা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই প্রখর রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সেই সাথে পশুপাখিগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই গরম থেকে রক্ষা পেতে পানির ট্যাব বা পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে শরীর ভিজিয়ে ঠান্ডা করছে মানুষ।
গত দু’দিন সোমবার ও মঙ্গলবার বছরের সর্বোচ্চ গরম অনুভূত হয়েছে এ উপজেলায়। তীব্র গরমের কারনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটক অনেকটা কমে গেছে । তবে একটু স্বস্তির আশায় ডাব ও শরবতের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
এদিকে প্রচন্ড খড়তাপে মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তপ্ত রোদে মৌসুমী সবজী চাষিরা রয়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়। এছাড়া ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। তবে দুই এক দিনের মধ্যে বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ভ্যানচালক চালক সোবাহান মিয়া বলেন, রোদের তীব্র তাপ। তাই ভ্যান চালানো বন্ধ রেখেছেন তিনি।
পর্যটক ওমর ফারুক বলেন, হোটেল থেকে বের হয়ে সৈকতে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু ভ্যাপসা গরমে শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেছে। কোনো উপায় না পেয়ে ডাব খেয়েছি। তাতেও তৃষ্ণা মিটছে না।
উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আমির হোসেন বলেন, সে বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি চাষ করেছেন। রোদের তেজে শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত। বৃষ্টি না হলে তিনি বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন।
খেপুপাড়া আবহাওয়া আফিসের সিনিয়ার অবজারভার অফিসার মো. জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রী ও মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ৩৮.৪ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, তাপমাত্রা কম বেশি হতে পারে।





















