ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর মাইজীতে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম-সীমা আক্তার (২১)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী ও নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো.হারুনের মেয়ে।
শনিবার (৪ মে) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে, শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ২টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার এই অভিযোগ উঠে। পরে শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় নিহতের স্বজনরা।
নিহতের চাচাতো ভাই মো.নাঈমুর রহমান বলেন, শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে সীমার স্বজনরা তাকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে নিয়ে গেলে দুপুরের দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির তাকে সিজার করেন। সিজার করার সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে যায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। কিন্ত চিকিৎসক বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছলে বিকেল পৌনে ৬টার টার মা ও বিকেল সোয় ৪টার দিকে চট্রগ্রামের একটি হসপিটালে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মাইজদী আধুনিক হসপিটালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর বলেন, মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের সাথে বসেছি। কোনো চিকিৎসক ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।
সুধারাম থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নুসরাত নাঈম জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।