ভাতা তুলতে গিয়ে জানতে পারলেন মারা গেছেন তিনি!
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
আয়না বেগম। বয়স্কভাতা তুলতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি মারা গেছেন। এরপর খোঁজ-খবর নেন। তাতে জানা গেলো ইউপি চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্যের কারসাজিতেই কাগজে কলমে মৃত দেখানো হয়েছে আয়না বেগমকে।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে ভুক্তভোগী আয়না বেগমের ভাতা কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যজনকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর পারুলিয়া ইউনিয়নে।এদিকে, ভুক্তভোগী নারীর ভাতা কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সমাজ সেবা অধিদফতর।
জানা গেছে, কাশিয়ানীর পারুলিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আয়না বেগম ২০১৭ সাল থেকেই বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের কাগজ-কলমে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি মৃত।
ভুক্তভোগী আয়না বেগম জানতে পারেন, তাকে মৃত উল্লেখ করে সমাজসেবা অধিদফতরে প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। আর তাতে স্বাক্ষর করেন একই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য আসমা বেগম।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আয়না বেগম বলেন, আমি মরে গেছি তাই লিখে আমার ভাতার কার্ড কেটে দেওয়া হয়েছে। তারপর এটা অন্যজনকে দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আসমা বেগম বলেন, এসব নিয়ে বলার কিছুই নেই। মামলা হয়েছে। এরপর যা হওয়ার সেখানেই হবে।
অভিযুক্ত পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন বলেন, ওই নারীকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমিও খোঁজ নিয়ে পাইনি। এরপর সমাজসেবা অধিদফতর আমাকে প্রত্যয়ন দিতে বাধ্য করেছে।
গোপালগঞ্জ সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ এসব বিষয়ে বলেন, অফিস থেকে প্রত্যয়ন চেয়ে চাপ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ মারা গেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে লিখিত দেন। এরপর সেই অনুযায়ী অধিদফতর ব্যবস্থা নেয়।