ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সরকার’

রংপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের লাগামহিন মূল্য বৃদ্ধির কারনে দেশের মানুষ ভীষন কষ্টে আছে, আয় উপার্জন যা হচ্ছে খরচ তার চেয়ে বেশী হচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা থেকে বিমান যোগে রংপুরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো অনেক ধরনের কর মওকুফ করে দেয়া হবে, বিভিন্ন ভাবে রমজানে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনে রাখা হবে কিন্তু সরকার দ্যব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম নিয়ন্ত্রন করছেন। এই সিন্ডিকেটের কাছের সরকারও জিম্মি। সরকার ইচ্ছে করলেও তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা। এরা সরকারে চেয়ে শক্তিশালী মনে হচ্ছে। কারন তারা সকলেই সরকারের নিতী নির্ধারননের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার সরকারের ইচ্ছায় নয় তাদের ইচ্ছায় হচ্ছে। সে কারনে সরকার জনগনকে যে সেবা দিতে চাইছে তা করতে পারবেনা। ফলে আপাতত জনগনের দূর্ভোগ কমার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।

জিএম কাদের রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরও একটি জাতীয় পার্টি গঠনে সরকারের পৃষ্টপোষকতা আছে বলে দাবি করে বলেন, তাদের পারমিশন দেয়া হয়েছে হল ভাড়া দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ভাবে যদি সরকার বেআইনী ভাবে কাউকে পৃষ্টপোষকতা দেয় এর থেকে সরে না আসে তাহলে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধা গ্রস্থ হবে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার দলকে দূর্বল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রভাব বিস্তার করে দলের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। এবার যেটা হয়েছে আইনগত কাঠামোর বাইরে ব্যাক্তিগত ভাবে করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এসব করেছে তাদের বেশীরভাগই জাতীয় পার্টির সাথে সংশ্লিষ্ঠ নন। আর যতটুকু করেছে আইনানুগ কিছুই করেনি।

আগামী উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলে ঘোষনা দিয়ে বলেন, সারাদেশের কথা বলবোনা রংপুরে আমরা শক্তিশালী দল তৃনমুল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো আছে জনগনের ব্যাপক সমর্থন আছে। তবে যে ভাবে সংসদ নির্বাচনে কিছু কিছু স্থানে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত হয়েছে সেখানে নির্বাচন করা ঝুকিপুর্ন হয়। তার পরেও আমরা নির্বাচন মুখি দল নির্বাচন অংশ নেবো বলে জানান তিনি।

এর আগে ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করে সরাসরি সৈয়দপুর থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে আসলে দলের নেতা কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির , জেলা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সরকার’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের লাগামহিন মূল্য বৃদ্ধির কারনে দেশের মানুষ ভীষন কষ্টে আছে, আয় উপার্জন যা হচ্ছে খরচ তার চেয়ে বেশী হচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা থেকে বিমান যোগে রংপুরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো অনেক ধরনের কর মওকুফ করে দেয়া হবে, বিভিন্ন ভাবে রমজানে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনে রাখা হবে কিন্তু সরকার দ্যব্য মুল্য নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম নিয়ন্ত্রন করছেন। এই সিন্ডিকেটের কাছের সরকারও জিম্মি। সরকার ইচ্ছে করলেও তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা। এরা সরকারে চেয়ে শক্তিশালী মনে হচ্ছে। কারন তারা সকলেই সরকারের নিতী নির্ধারননের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার সরকারের ইচ্ছায় নয় তাদের ইচ্ছায় হচ্ছে। সে কারনে সরকার জনগনকে যে সেবা দিতে চাইছে তা করতে পারবেনা। ফলে আপাতত জনগনের দূর্ভোগ কমার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।

জিএম কাদের রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরও একটি জাতীয় পার্টি গঠনে সরকারের পৃষ্টপোষকতা আছে বলে দাবি করে বলেন, তাদের পারমিশন দেয়া হয়েছে হল ভাড়া দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ভাবে যদি সরকার বেআইনী ভাবে কাউকে পৃষ্টপোষকতা দেয় এর থেকে সরে না আসে তাহলে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধা গ্রস্থ হবে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার দলকে দূর্বল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রভাব বিস্তার করে দলের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। এবার যেটা হয়েছে আইনগত কাঠামোর বাইরে ব্যাক্তিগত ভাবে করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এসব করেছে তাদের বেশীরভাগই জাতীয় পার্টির সাথে সংশ্লিষ্ঠ নন। আর যতটুকু করেছে আইনানুগ কিছুই করেনি।

আগামী উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলে ঘোষনা দিয়ে বলেন, সারাদেশের কথা বলবোনা রংপুরে আমরা শক্তিশালী দল তৃনমুল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো আছে জনগনের ব্যাপক সমর্থন আছে। তবে যে ভাবে সংসদ নির্বাচনে কিছু কিছু স্থানে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত হয়েছে সেখানে নির্বাচন করা ঝুকিপুর্ন হয়। তার পরেও আমরা নির্বাচন মুখি দল নির্বাচন অংশ নেবো বলে জানান তিনি।

এর আগে ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করে সরাসরি সৈয়দপুর থেকে রংপুর সার্কিট হাউজে আসলে দলের নেতা কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির , জেলা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।