ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে আগুন/২৫ মরদেহ হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজদানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে নিহতের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত স্বজনরা শনাক্ত করার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিস) বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৪ জনের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো তাদের কাছে দেয়া হয়েছে।

বাকি মরদেহগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, শনাক্ত না হওয়া ৬ জনের মধ্যে ৫ জনেরই চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বহুতল ভবনটিতে লাগা ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে বাণিজ্যিক ভবনটি। রাতেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন আরও অন্তত ২৫ জন। যাদের বেশিরভাগেরই পুড়ে গেছে শ্বাসনালী।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রাত পৌনে ১০টায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। একে একে যোগ দেয় ১৩টি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। প্রথম দুই ঘণ্টা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১২টার পর থেকে আহত ব্যক্তিদের ভবন থেকে বের করে আনা হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও রয়েছে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডে আগুন/২৫ মরদেহ হস্তান্তর

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজদানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে নিহতের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত স্বজনরা শনাক্ত করার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিস) বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৪ জনের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো তাদের কাছে দেয়া হয়েছে।

বাকি মরদেহগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, শনাক্ত না হওয়া ৬ জনের মধ্যে ৫ জনেরই চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বহুতল ভবনটিতে লাগা ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে বাণিজ্যিক ভবনটি। রাতেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন আরও অন্তত ২৫ জন। যাদের বেশিরভাগেরই পুড়ে গেছে শ্বাসনালী।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রাত পৌনে ১০টায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। একে একে যোগ দেয় ১৩টি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। প্রথম দুই ঘণ্টা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১২টার পর থেকে আহত ব্যক্তিদের ভবন থেকে বের করে আনা হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও রয়েছে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।