ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে আগুন/ পুলিশের মামলা, আসামি অজ্ঞাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে মামলাটি দায়ের করে রমনা থানা পুলিশ। মামলা নং-০১। তবে, মামলায় কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। মামলায়, অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডসহ আরও কিছু আইনের ধারা উল্লেখ রয়েছে।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটির দুই রেস্তোরাঁর মালিক ও কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।

মামলাটি তদন্ত করছে, রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনসার। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ায় আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডে অবস্থিত কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টের নিচতলায় আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজজনিত ত্রুটির কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে রেস্টুরেন্টে কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে তথ্য পায় তারা। রাত ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে সর্বপ্রথম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে একে একে যোগ দেয় আরও ১২টি ইউনিট। কিন্তু এর আগেই ভবনজুড়ে আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তখন জীবন বাঁচাতে সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। ভবনে আটকে থাকা লোকজনদের অনেকে ছাদে আশ্রয় নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৪ জন নিহতের কথা জানান। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ১ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অনেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডে আগুন/ পুলিশের মামলা, আসামি অজ্ঞাত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে মামলাটি দায়ের করে রমনা থানা পুলিশ। মামলা নং-০১। তবে, মামলায় কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। মামলায়, অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডসহ আরও কিছু আইনের ধারা উল্লেখ রয়েছে।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটির দুই রেস্তোরাঁর মালিক ও কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।

মামলাটি তদন্ত করছে, রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনসার। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ায় আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডে অবস্থিত কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টের নিচতলায় আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজজনিত ত্রুটির কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে রেস্টুরেন্টে কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে তথ্য পায় তারা। রাত ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে সর্বপ্রথম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে একে একে যোগ দেয় আরও ১২টি ইউনিট। কিন্তু এর আগেই ভবনজুড়ে আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তখন জীবন বাঁচাতে সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। ভবনে আটকে থাকা লোকজনদের অনেকে ছাদে আশ্রয় নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৪ জন নিহতের কথা জানান। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ১ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অনেক।