ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে আগুন/ গ্রেপ্তার আমিন মোহাম্মদের কর্মকর্তাসহ চারজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আসামিরা হলেন- ভবনের চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক, শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন ব্যবসায়ী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপক মুন্সী হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার (২ মার্চ) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় শুক্রবার (১ মার্চ) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেপ-ওই ভবনে ‘চুমুক রেস্তোরাঁ’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান।

গ্রিন কোজি কটেজ নামের ওই ভবনে নিচতলার চায়ের দোকান ‘চুমুক রেস্তোরাঁ থেকেই ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে ভবনের আগুনে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর হয়েছে।

দগ্ধ আরো ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডে আগুন/ গ্রেপ্তার আমিন মোহাম্মদের কর্মকর্তাসহ চারজন রিমান্ডে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আসামিরা হলেন- ভবনের চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক, শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন ব্যবসায়ী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপক মুন্সী হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার (২ মার্চ) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় শুক্রবার (১ মার্চ) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেপ-ওই ভবনে ‘চুমুক রেস্তোরাঁ’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান।

গ্রিন কোজি কটেজ নামের ওই ভবনে নিচতলার চায়ের দোকান ‘চুমুক রেস্তোরাঁ থেকেই ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে ভবনের আগুনে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর হয়েছে।

দগ্ধ আরো ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন।