ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব মা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মা ছোট্ট এই শব্দের অতলে লুকিয়ে থাকে গভীর স্নেহ, মমতা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মা। জন্মের পর মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল হলেন মা। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস।

তবে মাকে ভালোবাসতে কিংবা শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের লাগে না। প্রতিটি মায়ের সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও ১০ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে এই দিনটি পালন করা হয়।

পৃথিবীর সব যুগের সব ধর্মে মায়ের সম্মান রাখা হয়েছে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আমি মানুষকে তার মা-বাবার সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যে আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’,ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

জানা যায়, প্রাচীন গ্রীসে এই মা দিবসের সূচনা হয়েছিলো। সেখানে প্রচলিত ছিলো মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

১৯০৮ সালে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয়। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন।

মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিশ্ব মা দিবস আজ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

মা ছোট্ট এই শব্দের অতলে লুকিয়ে থাকে গভীর স্নেহ, মমতা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মা। জন্মের পর মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল হলেন মা। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস।

তবে মাকে ভালোবাসতে কিংবা শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের লাগে না। প্রতিটি মায়ের সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও ১০ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে এই দিনটি পালন করা হয়।

পৃথিবীর সব যুগের সব ধর্মে মায়ের সম্মান রাখা হয়েছে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আমি মানুষকে তার মা-বাবার সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যে আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’,ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

জানা যায়, প্রাচীন গ্রীসে এই মা দিবসের সূচনা হয়েছিলো। সেখানে প্রচলিত ছিলো মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

১৯০৮ সালে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয়। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন।

মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।