‘বাংলাদেশ ১০টি এয়ারবাস কিনতে চায়’
![](https://bangla-times.com/wp-content/themes/Newspaper%20pro/assets/images/reporter.jpg)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র ছিলো বেসামরিক বিমান খাতে যৌথভাবে কী করা যায়। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বিমানের বহরে বোয়িং আছে। তারা আমাদের কাছে এয়ারবাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।
ফারুক খান আরও বলেন, এয়ারবাস এরমধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারক করার কথা বলেছিলো। কিন্তু আমরা বলেছি, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
তিনি বলেন, এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানে, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়ছে। তারা আরও জানতে পেরেছে, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা চলছে। এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেয়া হবে তার সুদ, সেই সাথে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়। তবে এই বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে তার ওপর ।
মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন খবর এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সাথে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। একজন কিংবা দুজনের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকার ও জানার চেষ্টা করছি।