বাঁচতে চান পত্রিকা বিক্রেতা কিডনি রোগে আক্রান্ত ইদ্রিস
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
হড়হড়িয়া গ্রাম থেকে ৭ কি.মি. পাড়ি দিয়েফুলবাড়ী পৌর শহরে পত্রিকা বিক্রি করতেন ইদ্রিস আলী (৪৩)। ২৭ বছর ধরে পাঠকের মনের খোরাক যোগিয়েছেন পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে। আজ নিজেই সেই পত্রিকার খবর হয়েছেন কিডনি রোগে আক্রান্ত ইদ্রিস আলী । অর্থাভাবে ধীরে ধীরেমৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়াইদ্রিস আলীসমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আহবান তার।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হড়হড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মো.সামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলী। পত্রিকা বিক্রি করে দীর্ঘ ২৭ বছর কাটিয়েছেন। ফুলবাড়ীর শহর-গ্রাম বিভিন্ন বাসাবাড়ী ও প্রতিষ্ঠানে পত্রিকাগুলো পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছেন। তার এই যৎসামান্য আয়ে স্ত্রী ও ২ প্রতিবন্ধি কন্যাসহ ৪ সদস্যের সংসার কোনো রকমে চলছিল।
প্রায় ৬ মাস আগে ইদ্রিস আলীর কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি কিডনি পুরোপুরি অকেজো। আরেকটি কিডনি নষ্ট হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।
ইদ্রিস আলীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ইরিনা আক্তার (১৭) বাক প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ইভা (১০) জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার চালাতে ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সহায় সম্বল যা ছিল তা বিক্রি করে এতোদিন চিকিৎসা করিয়েছেন।
অসুস্থ ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম বলেন, ইদ্রিস আলীর কিডনি রোগ ধরা পড়ার পর ২ দফায় ২২ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ওষুধ কিনতে গিয়ে ১ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়ে গেছে। এরমধ্যে রংপুর গিয়ে কিডনি চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় তার রক্ত শ‚ন্যতা ধরা পড়ায় তাকে ২দিন পর পর ‘এ’ পজেটিভ গ্রুপের রক্ত দিতে হচ্ছে। টাকার অভাবে বাড়িতেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াসহ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত নিতে হচ্ছে।
হকার ইদ্রিস আলী তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগীতার আবেদন করেছেন। আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা-মো. ইদ্রিস আলী (বিকাশ নং-০১৭৩৭ ৬৮১৯৫৪ অথবা নগদ নং-০১৭৯৬ ১৭৭৮৯০)।