ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওড়ানো হয় জাতীয় পতাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৭১ সালের ২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওড়ানো হয়েছিলো বাঙালির বহুল প্রতিক্ষিত জাতীয় পতাকা। ৫৩ বছর আগের এই দিনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে ছাত্র-জনতার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্ত তার মাঝে বাংলার সোনালী মানচিত্রের জাতীয় পতাকা ওড়ান ডাকসুর সেই সময়ের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা আসম আব্দুর রব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ঢাকায় একাত্তরের ২ মার্চ পালিত হয় পূর্ণ দিবস হরতাল। বাঁশের লাঠি হাতে স্বাধীনতার স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ। তবে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর চরিত্র অনুযায়ী ফার্মগেইটে বাঙালীর ওপর গুলি ও বেয়নেট চার্জে হতাহত হন ৯ জন।

১৯৭১ এর এই দিনে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ৩রা মার্চ থেকে ৬ মার্চ সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে। এসময় শুধু চলবে অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রের গাড়ি, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার কর্মীদের গাড়ি।

এদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকায় কারফিউ জারি করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সরকার। পরাধীনতার শৃংখল ভাঙ্গার শপথ নেওয়া বাঙালি কারফিউ ভেঙে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। আবারও সেনাবাহিনীর গুলিতে রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওড়ানো হয় জাতীয় পতাকা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

১৯৭১ সালের ২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওড়ানো হয়েছিলো বাঙালির বহুল প্রতিক্ষিত জাতীয় পতাকা। ৫৩ বছর আগের এই দিনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে ছাত্র-জনতার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্ত তার মাঝে বাংলার সোনালী মানচিত্রের জাতীয় পতাকা ওড়ান ডাকসুর সেই সময়ের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা আসম আব্দুর রব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ঢাকায় একাত্তরের ২ মার্চ পালিত হয় পূর্ণ দিবস হরতাল। বাঁশের লাঠি হাতে স্বাধীনতার স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ। তবে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর চরিত্র অনুযায়ী ফার্মগেইটে বাঙালীর ওপর গুলি ও বেয়নেট চার্জে হতাহত হন ৯ জন।

১৯৭১ এর এই দিনে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ৩রা মার্চ থেকে ৬ মার্চ সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে। এসময় শুধু চলবে অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রের গাড়ি, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার কর্মীদের গাড়ি।

এদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকায় কারফিউ জারি করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সরকার। পরাধীনতার শৃংখল ভাঙ্গার শপথ নেওয়া বাঙালি কারফিউ ভেঙে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। আবারও সেনাবাহিনীর গুলিতে রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি।