ফ্রিজে এমপি আনারের দেহ রেখে সারারাত উল্লাস, জানালো কসাই জাহিদ
![](https://bangla-times.com/wp-content/themes/Newspaper%20pro/assets/images/reporter.jpg)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত ফ্ল্যাটে উপস্থিত ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজম আনার খুনে প্রধান অভিযুক্ত আমানুল্লাহ। তাকে সুপারি দিয়েছিলো মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিন। ফ্ল্যাটেই ছিল আখতারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তা রহমান। আরও ছিলো দুই অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর ও ফয়জল। ফ্রিজের ভিতর রাখা ছিল এমপির দেহাংশ। তাতেও কিছু যায় আসেনি অভিযুক্তদের। পাশের ঘরে বসে সারারাত উল্লাস। তদন্তে নেমে এমন তথ্য পেল সিআইডি।
কলকাতা সিআইডি সূত্রে খবর, হত্যার পর এমপি আনোয়ারুলের দেহাংশ ভর্তি দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হয় অভিযুক্ত সিয়াম ও জাহিদ। জাহিদ পেশায় কসাই। মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিনের নির্দেশেই এমপি আনোয়ারুলের দেহ টুকরা টুকরা করে কেটে লোপাট করার ব্যবস্থা করে বলেই দাবি জাহিদের। তারা দু’জন এমপির দেহ টুকরা টুকরা করে কাটে। তার আগে দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ছাড়িয়ে নেয়। যাতে তাড়াতাড়ি না পচে তাই দেহাংশে হলুদ মাখানো হয়। মাংস টুকরা করে ফেলে। গুঁড়িয়ে ফেলা হয় হাড়গুলো।
সিআইডিকে জাহিদ জানায়, সে ও সিয়াম ভাড়া গাড়ি করে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর এমপি আনোয়ারুলের দেহাংশ বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেয়া হয়।
এরমধ্যে কসাই জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। শুক্রবার (২৪ মে) আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সিয়াম সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে একজনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
কসাই জাহিদের তথ্য অনুযায়ী, বাসন্তী হাইওয়ের আশপাশে তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। তবে দেহাংশ পাওয়া যায়নি। ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার খালে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এমপির দেহ খুঁজতে কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোন। তবে এখনও কিছুই পাওয়া যায়নি।