ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, আহত ৭

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামে একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমানসহ ৭ জন। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। শুক্রবার (৫এপ্রিল) দুপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষ দর্শী তেপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ শিমুল হোসেন ,মাজদার রহমান,আবু সাইদ বিটেন ও মোস্তাক আহাম্মেদ জানান, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আকষ্মিক মুনসুর রহমানের প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুনের ধোয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর মুহুর্তের মধ্যে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এ সময় থানা পুলিশ এবং বাঘা ফায়ার স্টেশনে ফোন করলে কিছু সময়ের মধ্যে বাঘা ফায়ার স্টেশনের লোকজন চলে আসেন। এর কিছু সময়ের মধ্যে পাশ্ববর্তী চারঘাট, পুঠিয়া এবং লালপুর থেকেও ফায়ার ডিফেন্সের লোকবল এসে উপস্থিত হন। অত:পর গ্রামের লোকজন সহ চারটি ফায়ার স্টেশনের লোকজন মিলে এই আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। এতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়।

এদিকে, ভয়াবহ আগুন নিভাতে গিয়ে আগুনের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান (৩৫), ইনছার আলী (৫০) ইয়াজুল ইসলাম(৩৭) আয়ুব আলী (৩৪) রেজাউল করিম(৩৬) আমিরুল ইসলাম(১৯) ও সবুজ রানা(২২) সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমাইয়া জেরিণ।

গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান মুর্ছা জেতে,জেতে বলেন, আমি আমার মামার সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে পাটনার সিপে আম,বরই ও পিয়ারা-সহ কাঁচা ফলমুল বাজারজাত করণের জন্য প্লাস্টিকের ক্যারেট(ঝুরি), খবরের কাগজ (পেপার)ও মোটা কাগজের বক্স(কাটুন) এর ব্যবসা করে কিছু টাকার মালিক হয়ে ছিলাশ। কিন্তু আল্লাহপাক আজ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। তবে এই আগুন কি ভাবে লেগেছে এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষনাত কিছুই বলতে পারেননি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চারটি ফায়ার স্টেশানে ফোন করে আমি ঘটনা স্থালে যায়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এড: লায়েব উদ্দিন লাভলুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাতাশ না থাকায় পার্শ্ববর্তী লোকজন রক্ষা পেয়েছেন। এ ক্ষতি অপরনীয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক ওহিদুর ইসলাম বলেন, ঘটনা স্থলের পাশে একটি পুকুর থাকায় অতি দ্রæত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করেছেন বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া ও লালপুর ফায়ার স্ট্রেশানের লোকবল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, আহত ৭

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামে একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমানসহ ৭ জন। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। শুক্রবার (৫এপ্রিল) দুপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষ দর্শী তেপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ শিমুল হোসেন ,মাজদার রহমান,আবু সাইদ বিটেন ও মোস্তাক আহাম্মেদ জানান, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আকষ্মিক মুনসুর রহমানের প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুনের ধোয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর মুহুর্তের মধ্যে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এ সময় থানা পুলিশ এবং বাঘা ফায়ার স্টেশনে ফোন করলে কিছু সময়ের মধ্যে বাঘা ফায়ার স্টেশনের লোকজন চলে আসেন। এর কিছু সময়ের মধ্যে পাশ্ববর্তী চারঘাট, পুঠিয়া এবং লালপুর থেকেও ফায়ার ডিফেন্সের লোকবল এসে উপস্থিত হন। অত:পর গ্রামের লোকজন সহ চারটি ফায়ার স্টেশনের লোকজন মিলে এই আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। এতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়।

এদিকে, ভয়াবহ আগুন নিভাতে গিয়ে আগুনের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান (৩৫), ইনছার আলী (৫০) ইয়াজুল ইসলাম(৩৭) আয়ুব আলী (৩৪) রেজাউল করিম(৩৬) আমিরুল ইসলাম(১৯) ও সবুজ রানা(২২) সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমাইয়া জেরিণ।

গোডাউন মালিক মুনসুর রহমান মুর্ছা জেতে,জেতে বলেন, আমি আমার মামার সাথে প্রায় ১৫ বছর ধরে পাটনার সিপে আম,বরই ও পিয়ারা-সহ কাঁচা ফলমুল বাজারজাত করণের জন্য প্লাস্টিকের ক্যারেট(ঝুরি), খবরের কাগজ (পেপার)ও মোটা কাগজের বক্স(কাটুন) এর ব্যবসা করে কিছু টাকার মালিক হয়ে ছিলাশ। কিন্তু আল্লাহপাক আজ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। তবে এই আগুন কি ভাবে লেগেছে এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষনাত কিছুই বলতে পারেননি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চারটি ফায়ার স্টেশানে ফোন করে আমি ঘটনা স্থালে যায়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এড: লায়েব উদ্দিন লাভলুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাতাশ না থাকায় পার্শ্ববর্তী লোকজন রক্ষা পেয়েছেন। এ ক্ষতি অপরনীয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক ওহিদুর ইসলাম বলেন, ঘটনা স্থলের পাশে একটি পুকুর থাকায় অতি দ্রæত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করেছেন বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া ও লালপুর ফায়ার স্ট্রেশানের লোকবল।