ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহস্রাধিক গ্রাহক

আজিজুল হক সরকার, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।

জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুরÑ এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩।ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।

২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহস্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে।টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অপিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে Ñ হচ্ছেÑ দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়।


ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহস্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে।আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহস্রাধিক গ্রাহক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।

জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুরÑ এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩।ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।

২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহস্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে।টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অপিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে Ñ হচ্ছেÑ দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়।


ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহস্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে।আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে।