ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেনশন পাবেন না নতুন চাকরিজীবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রচলিত পেনশন আর পাবেন না নতুন চাকরিজীবীরা। চাকরি জীবনের শেষে এককালীন অর্থও পাবেন না। সবাইকে বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে হবে। এজন্য চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে নতুন পেনশন স্কিম চালু হচ্ছে।

জানা গেছে, এ বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না। এর বদলে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।

সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল এবং স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে টাকা জমা রাখেন। এর বিনিময়ে সরকার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়। যা পেনশনে যাওয়ার পর অবসরভোগীরা পেয়ে থাকেন। যেসব সরকারি কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।

স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৪০০ সংস্থা রয়েছে। যেগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে চার লাখেরও বেশি। এই ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই ইত্যাদি।

গত বছর চারটি আলাদা কর্মসূচি (স্কিম) নিয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয় । এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কিমগুলো হচ্ছে -সুরক্ষা, প্রগতি, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য।

আর হলো সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাদের আয়সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য। প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য।

এছাড়া সুরক্ষাকৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কুমার,কামার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী সর্বজনীন পেনশনে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সের সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাদা দেয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেয়া। সংস্থাগুলোতে চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা সংবাদমাধ্যমকে বলেন,স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ইত্যাদি সংস্থায় চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হবে। এজন্য বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পেনশন পাবেন না নতুন চাকরিজীবীরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

প্রচলিত পেনশন আর পাবেন না নতুন চাকরিজীবীরা। চাকরি জীবনের শেষে এককালীন অর্থও পাবেন না। সবাইকে বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে হবে। এজন্য চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে নতুন পেনশন স্কিম চালু হচ্ছে।

জানা গেছে, এ বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না। এর বদলে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।

সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল এবং স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে টাকা জমা রাখেন। এর বিনিময়ে সরকার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়। যা পেনশনে যাওয়ার পর অবসরভোগীরা পেয়ে থাকেন। যেসব সরকারি কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।

স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৪০০ সংস্থা রয়েছে। যেগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে চার লাখেরও বেশি। এই ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই ইত্যাদি।

গত বছর চারটি আলাদা কর্মসূচি (স্কিম) নিয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয় । এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কিমগুলো হচ্ছে -সুরক্ষা, প্রগতি, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য।

আর হলো সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাদের আয়সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য। প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য।

এছাড়া সুরক্ষাকৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কুমার,কামার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী সর্বজনীন পেনশনে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সের সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাদা দেয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেয়া। সংস্থাগুলোতে চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা সংবাদমাধ্যমকে বলেন,স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ইত্যাদি সংস্থায় চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হবে। এজন্য বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।