ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রুমা সোনালী ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করেছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বলেছেন, দুষ্কৃতকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক হামলার ঘটনার তদন্তে সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমায় ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাকে (ম্যানেজার) দ্রæত উদ্ধারের মাধ্যমে কী পরিমাণ লুটপাট করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।তবে পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে লুট,অস্ত্র ছিনতাই ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের রেশ কাটতে নাকাটতেই এবার জেলার থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: জসিম উদ্দিন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার পর জেলার থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে উপর হামলা চালায় কেএনএফ এর সন্ত্রাসীরা।এসময় সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারী কর্মচারী ও স্থানীয়রা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থানচি উপজেলা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনেকে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়।

এদিকে,মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে।এসময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ,আনসার সদস্যদের অস্ত্র এবং ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।আর বান্দরবানে এই ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।

এদিকে মঙ্গলবার রাতের আধারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র নিয়ে যায়।এসময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে রুমা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।ওই সময় ১শত জনের আধুনিক অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত সশস্ত্র সদস্যরা রুমা সদরে উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের গ্রীল ভেঙ্গে প্রবেশ করে। তারপর ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।তবে টাকা নিয়েছে কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডাকাতির সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাংকের অদূরে থাকা আনসার ব্যারাক থেকে ৪টি অস্ত্র ও ৩৫টি গুলি ছিনিয় নেয় সশস্ত্র এ সন্ত্রাসীরা। এসময় সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে।

অন্যদিকে, ভুক্তভোগীরা জানায়, সন্ত্রাসীরা মসজিদ ঘেরাও করে মসুল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তাদের একটি অংশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রহরা দেয়।

একইভাবে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম দিকে সেগুন বাগান নিচে ছোট্ট কালভাটের পাশে রাস্তা গতিরোধ করে মোটরবাইক ও যাত্রীদের আটকিয়ে নগদ টাকা,মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিস যা থাকে সব ছিনিয়ে নিয়ে সবাইকে মারধর করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়দের মতে, লুট করার পর কেএনএফ সদস্যরা রুমা সদর থেকে উত্তরপূর্ব দিকে পলিখালের দিকে পালিয়ে যায়।বান্দরবানে এই ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।

অপরদিকে, বান্দরবানের সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনার তদন্তে কক্সবাজার থেকে পিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এখন রুমা পরিদর্শন করছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন,পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান,বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন। তারা সোনালী ব্যাংকটির ভল্ট দেখেন। তবে কোনো টাকা খোয়া গেছে কি না- এ বিষয় এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, তদন্ত টিমের কাজ শেষে বলা যাবে ভল্ট থেকে টাকা খোয়া গেছে কি না। অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাকে উদ্ধারে কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে।অন্যদিকে ব্যাংক ম্যানেজারের মুক্তির দাবিতে রুমা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে উপজেলা কমপ্লেক্সে। ঘটনার প্রতিবাদে রুমা উপজেলার সাথে বান্দরবানের সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যাংকে হামলার পর রুমায় এখন বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।রুমা উপজেলা সদরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ- এর একটি সশস্ত্র দল উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে এবং সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালায়। ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।মারধর করা হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।এসময় সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভোল্টটি ভাঙচুর করে।সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ভল্টটি সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করেছে। সেখানে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানা না গেলেও ওই সময় ভলটিতে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। তদন্তের পরই এ বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট জানিযয়েছেন।

উল্লেখ্য,বান্দরবানে ২০২২ সালে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ তৎপরতা শুরু করে । তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ৫ সেনাসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। আটক হয়েছে কেএনএফের ১৭ সদস্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

রুমা সোনালী ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করেছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বলেছেন, দুষ্কৃতকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক হামলার ঘটনার তদন্তে সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বান্দরবানের রুমায় ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাকে (ম্যানেজার) দ্রæত উদ্ধারের মাধ্যমে কী পরিমাণ লুটপাট করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।তবে পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে লুট,অস্ত্র ছিনতাই ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের রেশ কাটতে নাকাটতেই এবার জেলার থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: জসিম উদ্দিন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার পর জেলার থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে উপর হামলা চালায় কেএনএফ এর সন্ত্রাসীরা।এসময় সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারী কর্মচারী ও স্থানীয়রা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থানচি উপজেলা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনেকে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়।

এদিকে,মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে।এসময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ,আনসার সদস্যদের অস্ত্র এবং ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।আর বান্দরবানে এই ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।

এদিকে মঙ্গলবার রাতের আধারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র নিয়ে যায়।এসময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে রুমা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।ওই সময় ১শত জনের আধুনিক অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত সশস্ত্র সদস্যরা রুমা সদরে উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের গ্রীল ভেঙ্গে প্রবেশ করে। তারপর ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।তবে টাকা নিয়েছে কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডাকাতির সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাংকের অদূরে থাকা আনসার ব্যারাক থেকে ৪টি অস্ত্র ও ৩৫টি গুলি ছিনিয় নেয় সশস্ত্র এ সন্ত্রাসীরা। এসময় সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে।

অন্যদিকে, ভুক্তভোগীরা জানায়, সন্ত্রাসীরা মসজিদ ঘেরাও করে মসুল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তাদের একটি অংশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রহরা দেয়।

একইভাবে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম দিকে সেগুন বাগান নিচে ছোট্ট কালভাটের পাশে রাস্তা গতিরোধ করে মোটরবাইক ও যাত্রীদের আটকিয়ে নগদ টাকা,মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিস যা থাকে সব ছিনিয়ে নিয়ে সবাইকে মারধর করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়দের মতে, লুট করার পর কেএনএফ সদস্যরা রুমা সদর থেকে উত্তরপূর্ব দিকে পলিখালের দিকে পালিয়ে যায়।বান্দরবানে এই ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।

অপরদিকে, বান্দরবানের সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনার তদন্তে কক্সবাজার থেকে পিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এখন রুমা পরিদর্শন করছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন,পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান,বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন। তারা সোনালী ব্যাংকটির ভল্ট দেখেন। তবে কোনো টাকা খোয়া গেছে কি না- এ বিষয় এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, তদন্ত টিমের কাজ শেষে বলা যাবে ভল্ট থেকে টাকা খোয়া গেছে কি না। অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাকে উদ্ধারে কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে।অন্যদিকে ব্যাংক ম্যানেজারের মুক্তির দাবিতে রুমা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে উপজেলা কমপ্লেক্সে। ঘটনার প্রতিবাদে রুমা উপজেলার সাথে বান্দরবানের সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যাংকে হামলার পর রুমায় এখন বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।রুমা উপজেলা সদরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ- এর একটি সশস্ত্র দল উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে এবং সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালায়। ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।মারধর করা হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।এসময় সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভোল্টটি ভাঙচুর করে।সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ভল্টটি সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করেছে। সেখানে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানা না গেলেও ওই সময় ভলটিতে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। তদন্তের পরই এ বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট জানিযয়েছেন।

উল্লেখ্য,বান্দরবানে ২০২২ সালে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ তৎপরতা শুরু করে । তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ৫ সেনাসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। আটক হয়েছে কেএনএফের ১৭ সদস্য।