ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ি পাঁচ ফলে বহু ওষুধের গুণ, ডায়াবেটিস কমায় কয়েকদিনেই

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাহাড়ি ফলগুলো তুলনামূলক কম পরিচিত। অথচ স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এর জুড়ি নেই। জেনে নেওয়া যাক তেমনি ৫ পাহাড়ি ফলের কথা। যা খেলে রোগ দূরে থাকবে। মনও থাকবে ফুরফুরে।

ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাফাল। এই ফল বোটানিক্যালি মাইরিকা এসকুলাটা নামে ডাকা হয়। এর পুষ্টিকর উপাদান শরীরে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাফাল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।

ঘিঙ্গারুকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘Pyracantha crenulata’ বলা হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন কুমায়ুনি ও গাড়োয়ালিতে ঘিঙ্গরু এবং নেপালি ভাষায় ঘাঙ্গারু। ঘিঙ্গারুর ফল শুকিয়ে গুঁড়ো বানিয়ে দই দিয়ে খেলে রক্ত ডায়রিয়া নিরাময় হয়। এতে শর্করাও পাওয়া যায়, যা শরীরে শক্তি জোগায়। ফলের পাশাপাশি ঘিঙ্গারুর ডাল টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

হিসালু উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘রুবাস এলিপটিকাস’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইয়েলো হিমালয়ান রাস্পবেরি’। এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক। রক্ত পরিশোধনের পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।

পাহাড়ি লেবু বা চুখা উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘Citrus medica var limonum’ নামে পরিচিত। একে ইংরেজিতে ‘হিল লেমন’ বলা হয়। এতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল রয়েছে। যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পাহাড়ি লেবুতে অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর সেবন হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে। এর রসে ফাইবার এবং পটাসিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মাল্টার বোটানিক্যাল নাম ‘সাইট্রাস সাইনেনসিস’। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার এতে রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সাইট্রাস সিনেনসিস হজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও এটি বেশ সহায়ক। এর রস রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাহাড়ি পাঁচ ফলে বহু ওষুধের গুণ, ডায়াবেটিস কমায় কয়েকদিনেই

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

পাহাড়ি ফলগুলো তুলনামূলক কম পরিচিত। অথচ স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এর জুড়ি নেই। জেনে নেওয়া যাক তেমনি ৫ পাহাড়ি ফলের কথা। যা খেলে রোগ দূরে থাকবে। মনও থাকবে ফুরফুরে।

ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাফাল। এই ফল বোটানিক্যালি মাইরিকা এসকুলাটা নামে ডাকা হয়। এর পুষ্টিকর উপাদান শরীরে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাফাল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।

ঘিঙ্গারুকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘Pyracantha crenulata’ বলা হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন কুমায়ুনি ও গাড়োয়ালিতে ঘিঙ্গরু এবং নেপালি ভাষায় ঘাঙ্গারু। ঘিঙ্গারুর ফল শুকিয়ে গুঁড়ো বানিয়ে দই দিয়ে খেলে রক্ত ডায়রিয়া নিরাময় হয়। এতে শর্করাও পাওয়া যায়, যা শরীরে শক্তি জোগায়। ফলের পাশাপাশি ঘিঙ্গারুর ডাল টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

হিসালু উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘রুবাস এলিপটিকাস’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইয়েলো হিমালয়ান রাস্পবেরি’। এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক। রক্ত পরিশোধনের পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।

পাহাড়ি লেবু বা চুখা উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ‘Citrus medica var limonum’ নামে পরিচিত। একে ইংরেজিতে ‘হিল লেমন’ বলা হয়। এতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল রয়েছে। যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পাহাড়ি লেবুতে অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর সেবন হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে। এর রসে ফাইবার এবং পটাসিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মাল্টার বোটানিক্যাল নাম ‘সাইট্রাস সাইনেনসিস’। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার এতে রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সাইট্রাস সিনেনসিস হজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও এটি বেশ সহায়ক। এর রস রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।