ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে পরিবেশবান্ধব সোনালী আঁশ পাট। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাটখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুরে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘বহুমুখী পাট পণ্যের একক মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সরকার। বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভায় পাটজাত পণ্যসহ তিনটি খাতকে তৈরি পোশাকশিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে তেমন সহায়তা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আরও বলেন, পাট পণ্য রপ্তানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা, নকশার উন্নয়ন, বিপণনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আমরা শ্রীঘই এ সংক্রান্ত পথনকশা প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবো।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ যে সকল দেশে সবচেয়ে কম তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পাটের তৈরি গৃহসজ্জার পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ, জিওটেক্সটাইল ও ফ্লোর কভারের চাহিদাও বাড়ছে। এ ছাড়া পাটকাঠির তৈরি চারকোলের চাহিদাও রয়েছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে। এ ছাড়া পাটভিত্তিক জিওটেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারের আকার ক্রমে বেড়েই চলেছে। এ সকল সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পাটের উৎপাদনের দিকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি, তেমনি মূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদনেও জোর দিচ্ছি। এজন্য জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। বক্তব্য রাখেন-পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান,জেডিপিসি-র পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলা ২৩ এপ্রিল শুরু হয়েছে। যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে সরকার’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে পরিবেশবান্ধব সোনালী আঁশ পাট। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাটখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুরে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘বহুমুখী পাট পণ্যের একক মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সরকার। বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভায় পাটজাত পণ্যসহ তিনটি খাতকে তৈরি পোশাকশিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে তেমন সহায়তা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আরও বলেন, পাট পণ্য রপ্তানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা, নকশার উন্নয়ন, বিপণনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আমরা শ্রীঘই এ সংক্রান্ত পথনকশা প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবো।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ যে সকল দেশে সবচেয়ে কম তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পাটের তৈরি গৃহসজ্জার পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ, জিওটেক্সটাইল ও ফ্লোর কভারের চাহিদাও বাড়ছে। এ ছাড়া পাটকাঠির তৈরি চারকোলের চাহিদাও রয়েছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে। এ ছাড়া পাটভিত্তিক জিওটেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারের আকার ক্রমে বেড়েই চলেছে। এ সকল সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পাটের উৎপাদনের দিকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি, তেমনি মূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদনেও জোর দিচ্ছি। এজন্য জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। বক্তব্য রাখেন-পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান,জেডিপিসি-র পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলা ২৩ এপ্রিল শুরু হয়েছে। যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।