ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছরে হবে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে বলে জানা তিনি।

আরও পড়ুন : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,রোবোটিক্স, সাইবার নিরাপত্তা, সেমিকন্ডাক্টর, স্পেস ইলেকট্রিক ভেহিকেল ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদন্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন : দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ এর সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা। যা বর্তমানে মাত্র ৬০ টাকা। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২ কোটির ওপরে। সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা। যাদের ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারী, এবং সাড়ে আট হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জানুয়ারি ২০২৪ শেষে প্রায় ১২ দশমিক ৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেনসিটি ৭৫.১২ শতাংশ-এ উন্নীত হয়েছে। যা ২০০৮ সালে ছিলো মাত্র ২.৭ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাঁচ বছরে হবে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে বলে জানা তিনি।

আরও পড়ুন : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,রোবোটিক্স, সাইবার নিরাপত্তা, সেমিকন্ডাক্টর, স্পেস ইলেকট্রিক ভেহিকেল ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদন্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন : দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ এর সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা। যা বর্তমানে মাত্র ৬০ টাকা। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২ কোটির ওপরে। সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা। যাদের ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারী, এবং সাড়ে আট হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জানুয়ারি ২০২৪ শেষে প্রায় ১২ দশমিক ৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেনসিটি ৭৫.১২ শতাংশ-এ উন্নীত হয়েছে। যা ২০০৮ সালে ছিলো মাত্র ২.৭ শতাংশ।