ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত

সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর আওতায় প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে সংস্থার এক কর্মকতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সংস্থার কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামকে ক্লোজডকরা হলেও আমানতের অর্থ ফেরত পাননি ভূক্তভোগীরা।

রোববার (২৬ মে) উপজেলা কার্যালয়ের সামনে ভূক্তভোগীরা জমার বই হাতে টাকা ফেরতের দাবিতে মানবন্ধন করেন । ভুক্তভোগী নিলিফা ,মলিরানী ,সোমাইয়া ,সাধনা জানান, প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয় জমা নেওয়া হয় । তারা সবাই সদর উপজেলার নতুন হাট দেওয়ানপাড়া গ্রুপের সদস্য।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী চলমান রয়েছে। দরিদ্র মানুষকে সাবলম্বী করতে ওই কর্মসূচীর অধীনে ১৭৮ টি সমিতি খোলা হয়। প্রত্যেক সমিতিতে ২০ থেকে ৩০ জন দরিদ্র সদস্য মাসিক আমানত জমা করে থাকেন। এসব সমিতির মধ্যে সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ১৬টি সমিতির সঞ্চয়সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলেন।

এক পর্যায়ে রাইসুল সুযোগ বুঝে তার অধিনস্থ ১৬টি সমিতির বিভিন্ন দরিদ্র্য সদস্যদের প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তালন করলেও অফিসের মূল রেজিষ্টারে উল্লেখ করেননি। বিষয়টি জানাজানি হলে ভূক্তভোগীরা সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর অফিসে এসে তাদের অর্থ ফেরত চান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাইসুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষুদে পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম এ বিষয়ে জানান, অভিযুক্ত রাইসুলকে বদলী করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

জয়পুরহাটে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর আওতায় প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে সংস্থার এক কর্মকতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সংস্থার কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামকে ক্লোজডকরা হলেও আমানতের অর্থ ফেরত পাননি ভূক্তভোগীরা।

রোববার (২৬ মে) উপজেলা কার্যালয়ের সামনে ভূক্তভোগীরা জমার বই হাতে টাকা ফেরতের দাবিতে মানবন্ধন করেন । ভুক্তভোগী নিলিফা ,মলিরানী ,সোমাইয়া ,সাধনা জানান, প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয় জমা নেওয়া হয় । তারা সবাই সদর উপজেলার নতুন হাট দেওয়ানপাড়া গ্রুপের সদস্য।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী চলমান রয়েছে। দরিদ্র মানুষকে সাবলম্বী করতে ওই কর্মসূচীর অধীনে ১৭৮ টি সমিতি খোলা হয়। প্রত্যেক সমিতিতে ২০ থেকে ৩০ জন দরিদ্র সদস্য মাসিক আমানত জমা করে থাকেন। এসব সমিতির মধ্যে সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ১৬টি সমিতির সঞ্চয়সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলেন।

এক পর্যায়ে রাইসুল সুযোগ বুঝে তার অধিনস্থ ১৬টি সমিতির বিভিন্ন দরিদ্র্য সদস্যদের প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তালন করলেও অফিসের মূল রেজিষ্টারে উল্লেখ করেননি। বিষয়টি জানাজানি হলে ভূক্তভোগীরা সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর অফিসে এসে তাদের অর্থ ফেরত চান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাইসুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষুদে পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম এ বিষয়ে জানান, অভিযুক্ত রাইসুলকে বদলী করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।