ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতু পাড়ি দেবে ‘ম্যাঙ্গো ট্রেন’

রতন কুমার, ঢাকা ও সোহরাব হোসন সৌরভ,রাজশাহী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবারও ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ঢাকায় আসবে পদ্মা সেতু দিয়ে। ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বিকাল ৪টায় ছেড়ে রাত সোয়া দু’টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। যমুনা সেতুতে ট্রেনের ধীরগতির কারণে দ্রুত ট্রেনটি ঢাকায় নিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বছর পঞ্চমবারের মতো এই ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামী ১০ জুন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার (১১ মে)সকালে রাজশাহী বিভাগহতে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলযোগে আম পরিবহন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আম খুবই সংবেদনশীল পণ্য। তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন আমের ট্রেন যথা সময়ে, যথাস্থানে পৌঁছাতে পারে। ডাবললাইন ট্রেন চালুর বিষয়টিও মাথায় আছে তবে তা অতিদ্রæত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তাছাড়া আমরা সকল আন্ত:নগর ট্রেনের সাথে একটি করে নন এসিলাগেজভ্যান ও এসিলাগেজভ্যান লাগানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রীর রেলখাতে গৃহীত পদ ক্ষেপের কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীবলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করার মাধ্যমে আরও ৮টি জেলার সাথে রেল যোগাযোগ সহজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রেলখাতের উন্নয়ন করার সদিচ্ছা আছে। এসময় মন্ত্রীরেলের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো আম যদি রেল যোগে ঢাকা এবং ঢাকার আশে পাশে পৌঁছানো যায় তবে সময় ও খরচ দুই’ই বাঁচবে। আম পরিবহন সহজ করতে আমরা ট্রেনকে জনপ্রিয় করতে চাই। আমরা রাস্তার ওপর চাপ কমাতে চাই। এজন্য যাযা করণীয় তাই আমরা করবো। আমরা চাই কম খরচে রেলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আম পরিবহন সহজ হোক। কুরিয়ারের বকল্প হিসেবেই আমরা এটি করতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান বাদশা, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ রশীদুল হাসান এবং রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় জানানো হয়েছে, ৬টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে আম পরিবহন করা যাবে ২৮ দশমিক ৮৩ টন। যাত্রাপথে রহনপুর স্টেশন থেকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আব্দুলপুর,পোড়াদহ, ঈশ্বরদী, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন।

প্রতি কেজি আম পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে এক টাকা ৪৭ পয়সা, রাজশাহী থেকে এক টাকা ৪৩ পয়সা, পোড়াদহ থেকে এক টাকা ১৯ পয়সা, রাজবাড়ী থেকে এক টাকা ৭ পয়সা, ফরিদপুর থেকে এক টাকা এক পয়সা এবং ভাঙ্গা থেকে ৯৮ পয়সা। এই খরচ কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ে অনেক কম। তাই ট্রেনে আম পরিবহনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ কেজি আম পরিবহন করা হয়। ট্রেন ভাড়া পেয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ট্রেনে ৩ হাজার ৯৯৫ টন আম পরিবহন করা হয়েছে। এর থেকে রেলের আয় ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। গত চার বছরে ট্রেনটি চলাচলে তেল খরচ হয়েছে ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পদ্মা সেতু পাড়ি দেবে ‘ম্যাঙ্গো ট্রেন’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

এবারও ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ঢাকায় আসবে পদ্মা সেতু দিয়ে। ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বিকাল ৪টায় ছেড়ে রাত সোয়া দু’টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। যমুনা সেতুতে ট্রেনের ধীরগতির কারণে দ্রুত ট্রেনটি ঢাকায় নিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বছর পঞ্চমবারের মতো এই ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামী ১০ জুন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শনিবার (১১ মে)সকালে রাজশাহী বিভাগহতে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলযোগে আম পরিবহন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আম খুবই সংবেদনশীল পণ্য। তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন আমের ট্রেন যথা সময়ে, যথাস্থানে পৌঁছাতে পারে। ডাবললাইন ট্রেন চালুর বিষয়টিও মাথায় আছে তবে তা অতিদ্রæত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তাছাড়া আমরা সকল আন্ত:নগর ট্রেনের সাথে একটি করে নন এসিলাগেজভ্যান ও এসিলাগেজভ্যান লাগানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রীর রেলখাতে গৃহীত পদ ক্ষেপের কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীবলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করার মাধ্যমে আরও ৮টি জেলার সাথে রেল যোগাযোগ সহজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রেলখাতের উন্নয়ন করার সদিচ্ছা আছে। এসময় মন্ত্রীরেলের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো আম যদি রেল যোগে ঢাকা এবং ঢাকার আশে পাশে পৌঁছানো যায় তবে সময় ও খরচ দুই’ই বাঁচবে। আম পরিবহন সহজ করতে আমরা ট্রেনকে জনপ্রিয় করতে চাই। আমরা রাস্তার ওপর চাপ কমাতে চাই। এজন্য যাযা করণীয় তাই আমরা করবো। আমরা চাই কম খরচে রেলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আম পরিবহন সহজ হোক। কুরিয়ারের বকল্প হিসেবেই আমরা এটি করতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান বাদশা, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ রশীদুল হাসান এবং রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় জানানো হয়েছে, ৬টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে আম পরিবহন করা যাবে ২৮ দশমিক ৮৩ টন। যাত্রাপথে রহনপুর স্টেশন থেকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আব্দুলপুর,পোড়াদহ, ঈশ্বরদী, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন।

প্রতি কেজি আম পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে এক টাকা ৪৭ পয়সা, রাজশাহী থেকে এক টাকা ৪৩ পয়সা, পোড়াদহ থেকে এক টাকা ১৯ পয়সা, রাজবাড়ী থেকে এক টাকা ৭ পয়সা, ফরিদপুর থেকে এক টাকা এক পয়সা এবং ভাঙ্গা থেকে ৯৮ পয়সা। এই খরচ কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ে অনেক কম। তাই ট্রেনে আম পরিবহনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ কেজি আম পরিবহন করা হয়। ট্রেন ভাড়া পেয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ট্রেনে ৩ হাজার ৯৯৫ টন আম পরিবহন করা হয়েছে। এর থেকে রেলের আয় ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। গত চার বছরে ট্রেনটি চলাচলে তেল খরচ হয়েছে ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।