ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সুবর্ণচর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় কয়েকটি নতুন রাস্তা পাকাকরণ কাজে ও পুরোনো সড়ক সংস্কারকাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে-চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের এম হোসেন পাটেয়ারী মার্কেট থেকে ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় সড়ক। ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে চিল্লার দীঘির পাড় সড়ক। এখানে একটি প্যাকেজে পাঁচটি সড়কের ১ হাজার ৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে ।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণের কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স রিয়া এন্ড স্বাদ ব্রাদার্স। এটি ঠিকাদার বাহার কোম্পানীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্ত রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চারটি কালভার্ট নির্মাণেও একেবারে নিম্নমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে ঠিকাদার বাহার কোম্পানী অভিযোগ নাকচ করেন।

অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমকি থেকে থানারহাট পর্যন্ত ২৯৭০ মিটার সড়ক সংস্কার কাজে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেটার নোয়াখালী প্রজেক্ট প্রকল্পের এ কাজটি করছে মেসার্স এম এন ট্রেডাস। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদুল হক রনি। ঠিকাদার রনি বলেন, দুটি গাড়ির ইটের খোয়া খারাপ ছিল। এরপর তারা ভালো সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়।

জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ৪টি নতুন সড়ক পাকাকরণে ও দুটি সড়ক সংস্কারে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সংস্কার সড়ক গুলো হলো, সুবর্ণচর উপজেলার থানার হাটের ষ্টীল ব্রিজ থেকে হাজীপুর সড়ক। এ সড়কটির ২ হাজার ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের এ কাজটি করছে জেলার কোম্পানীগঞ্জের ঠিকাদার মো.মাওলা। তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জননী এন্টার প্রাইজ। এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার মাওলা বলেন, একটি গাড়ির খোয়া ভুলে ইট ভাটা থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুরো সড়কে ভালো ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।

সুবর্ণচর বর্ডার থেকে থানার হাট ষ্টীল ব্রীজ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫৬ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পিচ ঢালাইয়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে শেষ করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহীন ট্রেডার্স। সড়কে কাজের তদারকিতে থাকা সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, কাজটি করছে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কাজের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন কাজটি তিনি করছেননা বলে জানান। তবে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেন কাজটি করছেন ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন।

সুবর্ণচর উপজেলায় নিন্মমানের কাজ হওয়া নতুন সড়ক গুলো হলো, উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আনছল হক সড়ক। এ সড়কের ১হাজার মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনির আহমদ ট্রেডার্স। ঠিকাদার মনির চেয়ারম্যান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সব ধোক্কা অভিযোগ।

করক্লার্ক ইউনিয়নের নোমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সামনের জাফানি সেন্টার থেকে এমপি প্রজেক্ট পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ফিরোজ আহমদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোকেয়া কনস্ট্রাকশন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ঠিকাদার ফিরোজের মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলার ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গি চৌরাস্তা থেকে নুরু পাটেয়ারী হাটের আগ পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার হুমায়ন। এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কিরণ দাবি করেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দেখেছেন আমরা মানসম্পন্ন সামগ্রী দিয়ে কাজ করছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের আনছার আলীর বাড়ির দরজা থেকে ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ির দরজা পর্যন্ত ৪২৫ নতুন সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার মো.মঞ্জুর রহমান। ঠিকাদার মো.মঞ্জুর বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে কোনো অভিযোগ নেই। আমি ভালো কাজ করছি।

চাটখিল উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাহাত আমিন পাটোয়ারী বলেন, নিন্মমানের কাজ করার কোনো সুযোগ নেয়।

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো.এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর নিন্মমানের ইটের খোয়া অপসারণ করে নেওয়া হয়। সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নিন্মমানের কাজ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নোয়াখালীর ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সুবর্ণচর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় কয়েকটি নতুন রাস্তা পাকাকরণ কাজে ও পুরোনো সড়ক সংস্কারকাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে-চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের এম হোসেন পাটেয়ারী মার্কেট থেকে ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় সড়ক। ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে চিল্লার দীঘির পাড় সড়ক। এখানে একটি প্যাকেজে পাঁচটি সড়কের ১ হাজার ৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে ।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণের কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স রিয়া এন্ড স্বাদ ব্রাদার্স। এটি ঠিকাদার বাহার কোম্পানীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্ত রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চারটি কালভার্ট নির্মাণেও একেবারে নিম্নমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে ঠিকাদার বাহার কোম্পানী অভিযোগ নাকচ করেন।

অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমকি থেকে থানারহাট পর্যন্ত ২৯৭০ মিটার সড়ক সংস্কার কাজে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেটার নোয়াখালী প্রজেক্ট প্রকল্পের এ কাজটি করছে মেসার্স এম এন ট্রেডাস। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদুল হক রনি। ঠিকাদার রনি বলেন, দুটি গাড়ির ইটের খোয়া খারাপ ছিল। এরপর তারা ভালো সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়।

জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ৪টি নতুন সড়ক পাকাকরণে ও দুটি সড়ক সংস্কারে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সংস্কার সড়ক গুলো হলো, সুবর্ণচর উপজেলার থানার হাটের ষ্টীল ব্রিজ থেকে হাজীপুর সড়ক। এ সড়কটির ২ হাজার ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের এ কাজটি করছে জেলার কোম্পানীগঞ্জের ঠিকাদার মো.মাওলা। তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জননী এন্টার প্রাইজ। এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার মাওলা বলেন, একটি গাড়ির খোয়া ভুলে ইট ভাটা থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুরো সড়কে ভালো ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।

সুবর্ণচর বর্ডার থেকে থানার হাট ষ্টীল ব্রীজ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫৬ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পিচ ঢালাইয়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে শেষ করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহীন ট্রেডার্স। সড়কে কাজের তদারকিতে থাকা সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, কাজটি করছে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কাজের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন কাজটি তিনি করছেননা বলে জানান। তবে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেন কাজটি করছেন ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন।

সুবর্ণচর উপজেলায় নিন্মমানের কাজ হওয়া নতুন সড়ক গুলো হলো, উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আনছল হক সড়ক। এ সড়কের ১হাজার মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনির আহমদ ট্রেডার্স। ঠিকাদার মনির চেয়ারম্যান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সব ধোক্কা অভিযোগ।

করক্লার্ক ইউনিয়নের নোমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সামনের জাফানি সেন্টার থেকে এমপি প্রজেক্ট পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ফিরোজ আহমদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোকেয়া কনস্ট্রাকশন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ঠিকাদার ফিরোজের মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলার ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গি চৌরাস্তা থেকে নুরু পাটেয়ারী হাটের আগ পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার হুমায়ন। এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কিরণ দাবি করেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দেখেছেন আমরা মানসম্পন্ন সামগ্রী দিয়ে কাজ করছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের আনছার আলীর বাড়ির দরজা থেকে ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ির দরজা পর্যন্ত ৪২৫ নতুন সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার মো.মঞ্জুর রহমান। ঠিকাদার মো.মঞ্জুর বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে কোনো অভিযোগ নেই। আমি ভালো কাজ করছি।

চাটখিল উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাহাত আমিন পাটোয়ারী বলেন, নিন্মমানের কাজ করার কোনো সুযোগ নেয়।

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো.এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর নিন্মমানের ইটের খোয়া অপসারণ করে নেওয়া হয়। সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নিন্মমানের কাজ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।