ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাহী আদেশে আগামীকালের মধ্যেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তিনে এ কথা বলেন

২০১৩ সালে আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিলো। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা এড়াতে দেশে কারফিউ জারি করা হয়। এরপর সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ জুলাই রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪ দলের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর সোমবার (২৯ জুলাই) আবারও জোটের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন জোটের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারপারসন, সেখানে শরিক দলগুলোর বক্তব্য, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় ইত্যাদি বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কি হবে তার আইনগত দিক দেখে শুনে শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাহী আদেশে আগামীকালের মধ্যেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তিনে এ কথা বলেন

২০১৩ সালে আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিলো। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা এড়াতে দেশে কারফিউ জারি করা হয়। এরপর সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ জুলাই রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪ দলের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর সোমবার (২৯ জুলাই) আবারও জোটের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন জোটের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারপারসন, সেখানে শরিক দলগুলোর বক্তব্য, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় ইত্যাদি বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কি হবে তার আইনগত দিক দেখে শুনে শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার।