ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সাগর পাড়ি দিচ্ছে ‘আবদুল্লাহ’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আরব আমিরাতের পথে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত জাহাজটি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সাগর পাড়ি দিচ্ছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২০ এপ্রিল রাত ১০টায়। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল জাহাজটি আরব আমিরাতে ভিড়বে। কারণ জাহাজটির গতি অনেক কম।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২১ নাবিক জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এছাড়া দুই নাবিক এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, নাবিকরা তাদের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি দুইজন বিমানে বাংলাদেশে আসবে। এখনও তারা চাইলে বাই এয়ারে আসতে পারেন। যদি তারা আমাদের সিদ্ধান্ত দেন। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা ওই জাহাজে করে বাংলাদেশে ফিরবেন।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজ এখনো এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে রয়েছে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আশাকরছি ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্খিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে জাহাজের চারপাশে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দস্যুরা হানা দিলে যেনো উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়, এজন্য জাহাজের ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিপদ হলে নাবিকরা যেন জাহাজে লুকাতে পারেন সেজন্য ‘সিটাডেল’ (গোপন কুঠুরি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই তখন আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৩৩ দিন জিম্মি থাকার পর গত শনিবার জাহাজটি মুক্তি পায়। এরপর সোমালিয়ার ডেরা থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সাগর পাড়ি দিচ্ছে ‘আবদুল্লাহ’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আরব আমিরাতের পথে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত জাহাজটি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সাগর পাড়ি দিচ্ছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২০ এপ্রিল রাত ১০টায়। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল জাহাজটি আরব আমিরাতে ভিড়বে। কারণ জাহাজটির গতি অনেক কম।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২১ নাবিক জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন। এছাড়া দুই নাবিক এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, নাবিকরা তাদের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি দুইজন বিমানে বাংলাদেশে আসবে। এখনও তারা চাইলে বাই এয়ারে আসতে পারেন। যদি তারা আমাদের সিদ্ধান্ত দেন। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা ওই জাহাজে করে বাংলাদেশে ফিরবেন।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজ এখনো এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে রয়েছে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আশাকরছি ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্খিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে জাহাজের চারপাশে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দস্যুরা হানা দিলে যেনো উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়, এজন্য জাহাজের ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিপদ হলে নাবিকরা যেন জাহাজে লুকাতে পারেন সেজন্য ‘সিটাডেল’ (গোপন কুঠুরি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই তখন আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৩৩ দিন জিম্মি থাকার পর গত শনিবার জাহাজটি মুক্তি পায়। এরপর সোমালিয়ার ডেরা থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।