ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট, মিথ্যা মামলায় হয়রানী

রুবেল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট করে নিজেকে রক্ষায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রিপা আক্তার (৩০) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি দিয়ে ৩ মাসের সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে মো: মাহাবুব (৫৫) গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এরপর নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পরিবারকে।

নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা নারী ঠাকুরগাঁও সদর পৌর এলাকার ইসলামনগরের বিপ্লব খানের স্ত্রী। অভিযুক্ত মো: মাহাবুব গ্যাং একই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপার বাবা মো: আব্দুর রহিম চলতি মাসের ৬ মে ঠাকুরগাঁও থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মো: মাহাবুব গ্যাং বহুদিন থেকেই আব্দুর রহিম (৬০) এর বসতবাড়ির দখল করার চেষ্টা করে আসছে। চলতি মাসের ২ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে আব্দুর রহিম তার জমিতে পাকা ঘর নির্মানের কাজ করছিলেন। দুপুরে তার অনুপস্থিতে মাহাবুব গ্যাংয়ের লোকজন নির্মিত ঘর ভাঙচুর করে। এতে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় আব্দুর রহিমের। এসময় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও বিলকিস আক্তার তাদের ভাংচুরের প্রতিবাদ করলে মাহাবুবের নির্দেশে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপড় হামলা করে। এক পর্যায়ে মো: মাসুদ (২২) ও আব্দুস সালাম (২৩) অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপার তলপেটে লাথি মারে। এতে তার গর্ভপাত হয়। আর খয়রুল (৩০) রিপা আক্তারের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করলে রিক্তা ও বিলকিস অন্তঃসত্ত্বা রিপাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলে সুজন (২৫), শাহাবুদ্দীন (২৩), রেজিনা (৫০),রত্না বেগম (৪৫), নাজমুল (৫০), হাসু (৩৫), সালমা (৪০), সুফিয়া (৫০) ও সাহেরা বেগম (৪০) তাদের মারধর করে। এসময় রত্না বেগম রিপা আক্তারের গলা থেকে স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় ৷

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম জানান, নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে হঠাৎ তারা হামলা চালায়। যার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মো: মাহাবুবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে সদর থানার ওসি এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট, মিথ্যা মামলায় হয়রানী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট করে নিজেকে রক্ষায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রিপা আক্তার (৩০) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি দিয়ে ৩ মাসের সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে মো: মাহাবুব (৫৫) গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এরপর নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পরিবারকে।

নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা নারী ঠাকুরগাঁও সদর পৌর এলাকার ইসলামনগরের বিপ্লব খানের স্ত্রী। অভিযুক্ত মো: মাহাবুব গ্যাং একই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপার বাবা মো: আব্দুর রহিম চলতি মাসের ৬ মে ঠাকুরগাঁও থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মো: মাহাবুব গ্যাং বহুদিন থেকেই আব্দুর রহিম (৬০) এর বসতবাড়ির দখল করার চেষ্টা করে আসছে। চলতি মাসের ২ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে আব্দুর রহিম তার জমিতে পাকা ঘর নির্মানের কাজ করছিলেন। দুপুরে তার অনুপস্থিতে মাহাবুব গ্যাংয়ের লোকজন নির্মিত ঘর ভাঙচুর করে। এতে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় আব্দুর রহিমের। এসময় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও বিলকিস আক্তার তাদের ভাংচুরের প্রতিবাদ করলে মাহাবুবের নির্দেশে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপড় হামলা করে। এক পর্যায়ে মো: মাসুদ (২২) ও আব্দুস সালাম (২৩) অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপার তলপেটে লাথি মারে। এতে তার গর্ভপাত হয়। আর খয়রুল (৩০) রিপা আক্তারের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করলে রিক্তা ও বিলকিস অন্তঃসত্ত্বা রিপাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলে সুজন (২৫), শাহাবুদ্দীন (২৩), রেজিনা (৫০),রত্না বেগম (৪৫), নাজমুল (৫০), হাসু (৩৫), সালমা (৪০), সুফিয়া (৫০) ও সাহেরা বেগম (৪০) তাদের মারধর করে। এসময় রত্না বেগম রিপা আক্তারের গলা থেকে স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় ৷

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম জানান, নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে হঠাৎ তারা হামলা চালায়। যার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মো: মাহাবুবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে সদর থানার ওসি এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।