ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী খেকোদের পেটে চিত্রা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

oppo_0

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এভাবে বিগত কয়েক বছর কোন রকমের বাধা ছাড়াই লাগাতর চাষাবাদে মাটি ভরাট হয়ে নদীটি দ্রুত হারিয়েছে নাব্যতা। এমনকি এখনও দখলবাজরা নদীর দিকে ধেয়ে আসছে। এখনই দখলমুক্ত করা না হলে অল্পদিনেই নদী খেকোদের পেটে চলে যাবে চিত্রার সবটুকু জমি। দেশের দক্ষিণাঞ্চালের কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী চিত্রা নদীর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের অংশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চিত্রা নদীটি দেশের দক্ষিণাঞ্চালের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইলসহ কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খুলনা জেলার রুপসা নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এক সময় এই নদীর পানির উপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ একর জমিতে উৎপাদিত হতো বিভিন্ন ধরনের ফসল।

কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা নদীর অংশ দিয়েই এক সময় ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা আসতেন মালামাল বেচাকেনা করতে। নদী পথে মানুষ কম খরচে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতো। উন্মুক্ত নদী থেকে নানা জাতের মাছ ধরে মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ হতো। মৎসজীবিরাও ভালোভাবে চালাতো তাদের সংসার। আজ তার আর কিছুই নেই।

oppo_0

সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী এ নদীর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত অংশের অধিকাংশ স্থানে দু’পাড়ের জমির মালিকেরা নদী দখল করতে করতে ধেঁয়ে আসছে। কোন কোন স্থানে দখলের মাত্রা এতো বেশি যে এক সময়কার প্রশস্ত নদী আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীর জায়গায় অনেকে নিজের মালিকানাধীন জমির মত আইল ফেলে কোন বাধা ছাড়াই চাষাবাদ শুরু করেছে।

বিশেষ করে কালীগঞ্জ শহরের পূর্ব দিকে মস্তবাপুর, ফরাসপুর, ভাটাডাঙ্গা, বনখির্দা, মালিয়াট ইউনিয়নের সাইটবাড়িয়া -গয়াশপুর, পারখির্দ্দা -সরুপকাঠিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের নদীর অংশ দখল করে জমির মত আইল ফেলে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গা মাটিতে ভরাট হয়ে শুকিয়ে ঠনঠন করছে। ফলে দখলবাজরা ছাড়া এখনকার দিনে নদীটি সাধারন মানুষের কোন উপকারে আসছে না।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত চিত্রার জায়গা একজন দখল করলে সীমানার সমতা রক্ষায় অন্যরাও ধেয়ে আসছে নদীর দিকে। নিজের জমির মত চাষাবাদ করছে নদীর জমিতেও। দু’পাড়ের বাসিন্দাদের জমির পাশ ঘেষে নদীর জায়গা জড়িয়ে কেউ কেউ কেটেছেন বড় বড় পুকুর। অথবা গড়ে তুলছেন বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে চিত্রার কিছু অংশ আজ চিকন খালে পরিণত হয়েছে। এভাবে লাগামহীন দখলের ফলে নদীর গভীরতা কমে গেছে। বর্ষার ভরা মৌসুমেও দখলবাজদের ফেলা উঁচু আইল টপকে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে দু’এক মাস পরে চিত্রায় আর পানি থাকে না। তাদের ভাষ্য, দখলে দখলে মাটি ভরাট হওয়া এই নদী এখনই দখলে নিয়ে খননের সময়। না হলে এক সময় নদী খেকোদের আয়ত্বে চলে যাবে দক্ষিণাঞ্চালের ঐতিহ্যবাহী চিত্রা।

মস্তবাপুর গ্রামের কৃষাণী লক্ষি রানী স্বীকার করে জানান, নদীর কুলেই তাদের বাড়ি। তার স্বামীরা ৫ ভাই। তাদের মধ্যে এক ভাই চাকুরী করেন। বাকি ৪ ভাই নদীর জায়গায় বোরো ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, অন্যরা করলে আমরা কেন বসে থাকবো। তাছাড়া এ পর্যন্ত কেউ তাদের নিষেধ করেনি।

অনুপমপুর গ্রামের শিমুল মজুমদার জানান, নদীর জায়গা দখল করে অনেকেই ধান চাষ করে আসছেন। সরকারীভাবে কোন বাধা আসে না। একজন হতদরিদ্র মানুষ হিসেবে তিনিও অল্প চাষ করেছেন। তিনি বলেন এখন নদীতে পানি থাকে না। খননেরও কোন আলামত নেই। ফলে নদীর জায়গায় গরীব মানুষেরা যদি কিছু ধান পায় তাহলে উৎপাদনতো বাড়ছে।

একই গ্রামের নারায়ন বিশ্বাস জানান, নদীতে পানি না থাকায় যেন এলাকার শান্তি উঠে গেছে। ফলে নদী খনন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, নদীর জায়গায় অনেকে ধানচাষ করলেও কেউ স্থায়ীভাবে দখল করেনি। তবে নদীগর্ভে উঁচু উঁচু আইল দেয়াটা ঠিক হয়নি। এতে বর্ষায় পানি হলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হবে।

এ ব্যাপারে চিত্রানদী বাচাঁও আন্দোলনের কালীগঞ্জের নেতা শিবুপদ বিশ্বাস জানান, চিত্রা নদীর বিভিন্ন অংশে মানুষ দখল করে রেখেছে। যার কারনে চিত্রায় আর আগের মত পানি থাকেনা।

তিনি জানান, চিত্রার এপাশ ওপাশের আয়োজন ছিল ২০০ ফুট। বর্তমানে এর আয়োজন মাত্র ৪০ ফুট। যে কারনে বোঝা যাচ্ছে নদীর জমি কি পরিমানে নদী খেকোদের পেটে চলে গেছে। তারা বেশ আগে থেকেই চিত্রা বাঁচাতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, এ এলাকার মানুষের স্বার্থে চিত্রা খনন করতে হবে। সে কারনে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সব শ্রেণীর মানুষকে সহযোগীতা প্রয়োজন।

নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কর জানান, ছোটবেলায় দেখেছেন এ এলাকার সব ধরনের মানুষ নদী থেকে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে। মাছের চাহিদাও মিটিয়েছে এ চিত্রা। সে চিত্রার বুকে আহাকার। দখলবাজদের দখলে অস্তিত্ব সঙ্কটে।

তিনি বলেন, এলাকার সব মানুষ নদীর জায়গা দখল করেনি। মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। এক কথায় এলাকার সকলেই নদীটি খননের প্রয়োজন বলে মনে করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান রনি জানান, জমিতে সেচ সুবিধার্থে এলাকার অসংখ্য কৃষক চিত্রা নদী খননের কথা বলেন। তাদের দাবির যৌক্তিকতা যথেষ্ঠ রয়েছে। টেকসই কৃষির জন্য বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ঠ বিভাগকে অবহিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নদী খেকোদের পেটে চিত্রা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

এভাবে বিগত কয়েক বছর কোন রকমের বাধা ছাড়াই লাগাতর চাষাবাদে মাটি ভরাট হয়ে নদীটি দ্রুত হারিয়েছে নাব্যতা। এমনকি এখনও দখলবাজরা নদীর দিকে ধেয়ে আসছে। এখনই দখলমুক্ত করা না হলে অল্পদিনেই নদী খেকোদের পেটে চলে যাবে চিত্রার সবটুকু জমি। দেশের দক্ষিণাঞ্চালের কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী চিত্রা নদীর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের অংশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চিত্রা নদীটি দেশের দক্ষিণাঞ্চালের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইলসহ কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খুলনা জেলার রুপসা নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এক সময় এই নদীর পানির উপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ একর জমিতে উৎপাদিত হতো বিভিন্ন ধরনের ফসল।

কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা নদীর অংশ দিয়েই এক সময় ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা আসতেন মালামাল বেচাকেনা করতে। নদী পথে মানুষ কম খরচে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতো। উন্মুক্ত নদী থেকে নানা জাতের মাছ ধরে মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ হতো। মৎসজীবিরাও ভালোভাবে চালাতো তাদের সংসার। আজ তার আর কিছুই নেই।

oppo_0

সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী এ নদীর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত অংশের অধিকাংশ স্থানে দু’পাড়ের জমির মালিকেরা নদী দখল করতে করতে ধেঁয়ে আসছে। কোন কোন স্থানে দখলের মাত্রা এতো বেশি যে এক সময়কার প্রশস্ত নদী আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীর জায়গায় অনেকে নিজের মালিকানাধীন জমির মত আইল ফেলে কোন বাধা ছাড়াই চাষাবাদ শুরু করেছে।

বিশেষ করে কালীগঞ্জ শহরের পূর্ব দিকে মস্তবাপুর, ফরাসপুর, ভাটাডাঙ্গা, বনখির্দা, মালিয়াট ইউনিয়নের সাইটবাড়িয়া -গয়াশপুর, পারখির্দ্দা -সরুপকাঠিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের নদীর অংশ দখল করে জমির মত আইল ফেলে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গা মাটিতে ভরাট হয়ে শুকিয়ে ঠনঠন করছে। ফলে দখলবাজরা ছাড়া এখনকার দিনে নদীটি সাধারন মানুষের কোন উপকারে আসছে না।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত চিত্রার জায়গা একজন দখল করলে সীমানার সমতা রক্ষায় অন্যরাও ধেয়ে আসছে নদীর দিকে। নিজের জমির মত চাষাবাদ করছে নদীর জমিতেও। দু’পাড়ের বাসিন্দাদের জমির পাশ ঘেষে নদীর জায়গা জড়িয়ে কেউ কেউ কেটেছেন বড় বড় পুকুর। অথবা গড়ে তুলছেন বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে চিত্রার কিছু অংশ আজ চিকন খালে পরিণত হয়েছে। এভাবে লাগামহীন দখলের ফলে নদীর গভীরতা কমে গেছে। বর্ষার ভরা মৌসুমেও দখলবাজদের ফেলা উঁচু আইল টপকে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে দু’এক মাস পরে চিত্রায় আর পানি থাকে না। তাদের ভাষ্য, দখলে দখলে মাটি ভরাট হওয়া এই নদী এখনই দখলে নিয়ে খননের সময়। না হলে এক সময় নদী খেকোদের আয়ত্বে চলে যাবে দক্ষিণাঞ্চালের ঐতিহ্যবাহী চিত্রা।

মস্তবাপুর গ্রামের কৃষাণী লক্ষি রানী স্বীকার করে জানান, নদীর কুলেই তাদের বাড়ি। তার স্বামীরা ৫ ভাই। তাদের মধ্যে এক ভাই চাকুরী করেন। বাকি ৪ ভাই নদীর জায়গায় বোরো ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, অন্যরা করলে আমরা কেন বসে থাকবো। তাছাড়া এ পর্যন্ত কেউ তাদের নিষেধ করেনি।

অনুপমপুর গ্রামের শিমুল মজুমদার জানান, নদীর জায়গা দখল করে অনেকেই ধান চাষ করে আসছেন। সরকারীভাবে কোন বাধা আসে না। একজন হতদরিদ্র মানুষ হিসেবে তিনিও অল্প চাষ করেছেন। তিনি বলেন এখন নদীতে পানি থাকে না। খননেরও কোন আলামত নেই। ফলে নদীর জায়গায় গরীব মানুষেরা যদি কিছু ধান পায় তাহলে উৎপাদনতো বাড়ছে।

একই গ্রামের নারায়ন বিশ্বাস জানান, নদীতে পানি না থাকায় যেন এলাকার শান্তি উঠে গেছে। ফলে নদী খনন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, নদীর জায়গায় অনেকে ধানচাষ করলেও কেউ স্থায়ীভাবে দখল করেনি। তবে নদীগর্ভে উঁচু উঁচু আইল দেয়াটা ঠিক হয়নি। এতে বর্ষায় পানি হলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হবে।

এ ব্যাপারে চিত্রানদী বাচাঁও আন্দোলনের কালীগঞ্জের নেতা শিবুপদ বিশ্বাস জানান, চিত্রা নদীর বিভিন্ন অংশে মানুষ দখল করে রেখেছে। যার কারনে চিত্রায় আর আগের মত পানি থাকেনা।

তিনি জানান, চিত্রার এপাশ ওপাশের আয়োজন ছিল ২০০ ফুট। বর্তমানে এর আয়োজন মাত্র ৪০ ফুট। যে কারনে বোঝা যাচ্ছে নদীর জমি কি পরিমানে নদী খেকোদের পেটে চলে গেছে। তারা বেশ আগে থেকেই চিত্রা বাঁচাতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, এ এলাকার মানুষের স্বার্থে চিত্রা খনন করতে হবে। সে কারনে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সব শ্রেণীর মানুষকে সহযোগীতা প্রয়োজন।

নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কর জানান, ছোটবেলায় দেখেছেন এ এলাকার সব ধরনের মানুষ নদী থেকে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে। মাছের চাহিদাও মিটিয়েছে এ চিত্রা। সে চিত্রার বুকে আহাকার। দখলবাজদের দখলে অস্তিত্ব সঙ্কটে।

তিনি বলেন, এলাকার সব মানুষ নদীর জায়গা দখল করেনি। মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। এক কথায় এলাকার সকলেই নদীটি খননের প্রয়োজন বলে মনে করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান রনি জানান, জমিতে সেচ সুবিধার্থে এলাকার অসংখ্য কৃষক চিত্রা নদী খননের কথা বলেন। তাদের দাবির যৌক্তিকতা যথেষ্ঠ রয়েছে। টেকসই কৃষির জন্য বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ঠ বিভাগকে অবহিত করেছেন।