ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীতে মালিকানার সাইনবোর্ড

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নদীতে সাইনবোর্ড টানিয়ে মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। আর এই কাজটি প্রকাশ্যে করেছে বরিশালস্থ সামিট পাওয়ার লিমিটেড। তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে।

বিসিসির ২৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন রূপাতলী মৌজার ১৯০০ দাগের জমি তাদের বলে কীর্তনখোলা নদীতে সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে। তবে জমির পরিমান উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে তারা যে জমির মালিক তা নদী নয়।

সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পশ্চিম দিকে চরের মধ্যে সামিট পাওয়ারের নিজস্ব জমির সাইনবোর্ড আছে। সেই সাইন বোর্ডের পর নদীর মধ্যে সাইন বোর্ডটি ছিল।

নদীতে গোসলকারীসহ নদীর পানি ব্যবহারকারীরা জানান, নদীর মধ্যে সাইনবোর্ডটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা শুরু হলে সেটি এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নদীর চরের জমির মালিকও সরকার। সামিট পাওয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাইনবোর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে।

সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরে তাদের জমি কেনা আছে। কিন্তু সেই জমি কোন কাজে লাগছে না। তাই স্থানীয় লোকজন ওই জমিতে চাষাবাদ করেন। যেহেতু জমি আমাদের কেনা তাই সাইনবোর্ড লাগানো আছে। তবে জোয়ারের সময় বা নদীর পানি বাড়লে সেটি নদীর পানির মধ্যে চলে যাওয়ায় মনে হয় এটা নদীর মধ্যেকার জমি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নদীতে মালিকানার সাইনবোর্ড

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

নদীতে সাইনবোর্ড টানিয়ে মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। আর এই কাজটি প্রকাশ্যে করেছে বরিশালস্থ সামিট পাওয়ার লিমিটেড। তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে।

বিসিসির ২৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন রূপাতলী মৌজার ১৯০০ দাগের জমি তাদের বলে কীর্তনখোলা নদীতে সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে। তবে জমির পরিমান উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে তারা যে জমির মালিক তা নদী নয়।

সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পশ্চিম দিকে চরের মধ্যে সামিট পাওয়ারের নিজস্ব জমির সাইনবোর্ড আছে। সেই সাইন বোর্ডের পর নদীর মধ্যে সাইন বোর্ডটি ছিল।

নদীতে গোসলকারীসহ নদীর পানি ব্যবহারকারীরা জানান, নদীর মধ্যে সাইনবোর্ডটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা শুরু হলে সেটি এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নদীর চরের জমির মালিকও সরকার। সামিট পাওয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাইনবোর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে।

সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, কীর্তনখোলা নদীর তীরে তাদের জমি কেনা আছে। কিন্তু সেই জমি কোন কাজে লাগছে না। তাই স্থানীয় লোকজন ওই জমিতে চাষাবাদ করেন। যেহেতু জমি আমাদের কেনা তাই সাইনবোর্ড লাগানো আছে। তবে জোয়ারের সময় বা নদীর পানি বাড়লে সেটি নদীর পানির মধ্যে চলে যাওয়ায় মনে হয় এটা নদীর মধ্যেকার জমি।